মন্দির-শহর বাঁকুড়ায় টাটারা তাদের ইস্পাত কারখানা তৈরি করতে চলেছে। এই সূত্রেই তারা বাংলায় ফিরে এসেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শেষের দিকে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে তারা প্রস্তুত।
টাটা স্টিলের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা টাটা স্টিল মাইনিং, গত দুই বছরে, জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চের অনুমোদনের পরে, ৭৮০ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে তারা দেউলিয়া অবস্থায় থাকা তিনটি ফেরো ক্রোম ইউনিটকে অধিগ্রহণ করেছে ৬১৭ কোটি টাকায় এবং ২৮ একর জমিতে একটি ফেরো অ্যালয় ইউনিট তৈরির পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করছে। এটি বিষ্ণুপুরের পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহযোগিতার প্রেক্ষিতে, স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে।
Advertisement
অধিগ্রহণকৃত কারখানার সম্পূর্ণ পুনর্বিন্যাস এবং সংস্কারের পরে, টাটারা প্রাথমিকভাবে বিষ্ণুপুর ইউনিটটিকে প্রতি বছর ০.১ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা-সহ, স্টেইনলেস স্টিল এবং ফেরো ক্রোম রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছিল। সংস্থার আধিকারিক বলেন, ‘এই কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপ, স্পঞ্জ এবং পিগ আয়রনের মতো কাঁচামাল ব্যবহার করা হবে।’
Advertisement
নতুন কারখানাটি স্টেইনলেস স্টিল এবং ফেরোক্রোম ব্যবসায় টাটা স্টিলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। টাটারা সদ্য অধিগ্রহণ করা বিষ্ণুপুরের ফেরো অ্যালয় ইউনিটটিকে একটি স্টেইনলেস স্টিল উৎপাদন ইউনিটে রূপান্তরিত করেছে। টাটা স্টিলের এমডি ও সিইও, টি ভি নরেন্দ্রন মন্তব্য করেছেন যে, ‘বাংলার উন্নয়নে ইস্পাত প্রধান কোম্পানির স্টেইনলেস স্টিল ব্যবসা, সুসংহত করতে সহায়তা করবে।’
বিষ্ণুপুরের এসডিএম প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘দুই মাস আগে টাটার শীর্ষ পরিচালন কর্মকর্তারা কারখানাটি পরিদর্শন করেছিলেন।’ বিষ্ণুপুর ইউনিটের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিদর্শনের পর বাণিজ্যিক উৎপাদনের একটি পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে।
Advertisement



