নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংকে শোকজ করল দল। পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলর দলের মুখ্য সচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত শচীনের হাতে শোকজের চিঠি তুলে দেন। বাপ্পাদিত্য বলেন, বুধবার বিকেলে আমি শচীনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ওঁকে চিঠির উত্তর দিতে হবে। আগে সেই জবাব আসুক, তার পর ওঁর বিষয়ে অবস্থান ঠিক করবে দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ড ও তার পরে বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষুব্ধ দল। শচীনকে ঘিরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, বিক্ষোভে অসন্তুষ্ট খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। তার পর কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শচীনের কাছে। সূত্রের খবর, শচীনের ভূমিকা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে। এর আগে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের নেতাদের কাছেও শচীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল।
Advertisement
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নারকেলডাঙা এলাকায় খালপাড়ের ধারে একটি বস্তিতে লাগে। ঘটনায় একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে যায় বস্তির অন্তত ৪০টি ঝুপড়ি। দমকলের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি চলে যেতেই নারকেলডাঙা থানার সামনে গিয়ে ধরনায় বসেন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিং।
Advertisement
সূত্রের খবর, সেই সময় তাঁকে ধাওয়া করে বিরোধী গোষ্ঠী পাপ্পু খান লোকজন নিয়ে থানার সামনে পৌঁছে যায়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই থানার সামনে ধরনা দেওয়া কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের লক্ষ্য করে হামলা চলে। এই নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বাঁশের লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় পাপ্পু খান, হামিদ খান, সিকান্দর খানরা। এরা এলাকায় সমাজবিরোধী বলে পরিচিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, কাউন্সিলর শচীন সিং অবৈধভাবে তোলা তোলেন। টাকার বিনিময়ে বেআইনি ভাবে দোকান, ঝুপড়ি করার অনুমতি দিতেন তিনি। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন কাউন্সিলর। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিংয়ের পাল্টা অভিযোগ, এভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু খান ও তার দলবল। তারা কাউন্সিলরকে খুনের চক্রান্ত করছে। নিরাপত্তা না পেলে থানার সামনে থেকে সরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শচীন।
Advertisement



