বলা যেতে পারে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোর জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পকে অনেকটা অক্সিজেন দেওয়া হল। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের সাহায্যে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে অ্যাথলিট অন্বেষণ করার লক্ষ্যে। সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য তাদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
শনিবার লোকসভায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এই ঘোষণাটি করেছেন। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রকের জন্য ৭৭৬ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
Advertisement
যদিও অনেকেই মনে করছেন যে দেশের ক্রীড়াখাতে এই বাজেট একেবারে ‘কল্পতরু’ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারছে না। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে এই নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হল। কিন্তু, এবার ক্রীড়াখাতে আলাদা করে কোনও আর্থিক বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকী, গত অর্থবর্ষেও সেই অর্থে খেলার বাজেটে সামান্যই বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যায়। সেকারণে আশা করা হয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে পরিস্থিতি হয়ত কিছুটা হলেও উন্নত হবে।
Advertisement
যদি গত এক দশকের ক্রীড়া বাজেট পরিসংখ্যানে চোখ বোলানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে প্রতি বছরই বাজেটের পরিমাণ কিছু না কিছু বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছর জুলাই-অগাস্ট মাসে প্যারিস অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সের আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ক্রীড়া মন্ত্রকের বাজেটেও বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু, সেটা একেবারেই যৎসামান্য ছিল। গত অর্থবর্ষে মাত্র ৪৫.৩৬ কোটি টাকার বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
চলতি আর্থিক বছরে অলিম্পিক, কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসের মতো মেগা ইভেন্ট নেই। তাই ন্যাশানাল স্পোর্টস ফেডারেশনকে অর্থ বাড়ানো হয়েছে তাদের সাহায্য করার জন্য। আগে ছিল ৩৪০ কোটি টাকা আর এবারে তা বাড়িয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২৩৬ অলিম্পিক গেমসের আয়োজনের জন্য ভারত বিশেষ নজর দিয়েছে আর্থিক বরাদ্দে। ফুটবলের প্রতি আনুগত্য দেখানো হয়েছে এবারের বাজেটে।
Advertisement



