ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরির ১৭টি ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল স্বাস্থ্যভবন। বারুইপুরে ফার্মা ইমপেক্স সংস্থার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল স্বাস্থ্য দপ্তর। এর আগে ওই সংস্থাকে নোটিসও দেয় সেন্ট্রাল ও স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল। ১৭টি ওষুধ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সংস্থার আধিকারিকদের স্বাস্থ্য দপ্তরে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে।
এর আগে শিলিগুড়ির সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট)-এর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর। তারপর রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর থেকে স্যালাইন কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের দামেই সব ধরনের ইন্ট্রাভেনাস (আইভি) ফ্লুইড সরবরাহ করার কথা জানিয়েছিল ফার্মা ইমপেক্স।
Advertisement
এর আগে ফার্মা ইমপেক্স সংস্থার একাধিক ব্যাচের আইভি ফ্লুইডে পাওয়া গিয়েছিল ফাঙ্গাস। সেই সময় এই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। এরপর ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বারুইপুরের কারখানায় টানা ৩ দিন যৌথ অভিযান চালায় সেন্ট্রাল ও স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। এরপর তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সূত্রের খবর, মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণেই ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরির ১৭টি ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্যভবন।
Advertisement
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়। আরও তিন জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে স্যালাইনের সমস্যার কারণেই এই ঘটনা। সেই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেয় রাজ্য। সেই সময়ই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর স্যালাইন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
Advertisement



