• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ফের টাকা চাওয়ার অভিযোগ

দলুইবাজার দুই নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব মালিক জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য শংসাপত্র নিতে হবে বলে পঞ্চায়েত থেকে প্রচার করা হয়েছিল।

প্রতীকী চিত্র

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে ‘উন্নয়ন ফি’ বাবদ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এক নম্বর ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক ও জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানি।

জানা গিয়েছে, মেমারি ১ নম্বর ব্লকের প্রায় সাড়ে চার হাজার জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে সরকারি অনুদান পেয়েছেন। প্রায় সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে ঢুকেছে। এই অনুদান পেয়ে যারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন তাঁদের থেকে ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এই টাকাকে পঞ্চায়েত ‘ডোনেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ অর্থাৎ উন্নয়নের জন্য অর্থসাহায্য বলে ব্যাখ্যা করছে।

Advertisement

দলুইবাজার দুই নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব মালিক জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য শংসাপত্র নিতে হবে বলে পঞ্চায়েত থেকে প্রচার করা হয়েছিল। সেই শংসাপত্র পেতে ১০০০ টাকা করে পঞ্চায়েতকে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। রীতিমতো মাইকে প্রচার করে এই টাকা প্রদানের কথা মানুষকে জানিয়েছিল পঞ্চায়েত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিডিওর কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। দলুইবাজার দু’নম্বর পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দুর্গাপুর, নিমো ২-সহ আরও কয়েকটি পঞ্চায়েত বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নিমো দুই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ আব্দুল রহমান। তাঁর সাফাই, প্রকল্পের টাকাকে কাজে লাগিয়ে যারা বড় বাড়ি তৈরি করছেন তাঁদের কাছ থেকেই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। যারা মডেল অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করছেন তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে, অন্য এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাবি, টাকা দেওয়ার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি। যারা দিতে ইচ্ছুক তাঁদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এভাবে উন্নয়নের নামে টাকা নেওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানিয়েছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলার বাড়ি নিয়ে কোনও দুর্নীতির ঘটনা এড়াতে সব রকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রুখতে বিডিওদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরও উন্নয়নের নামে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement