ডার্বির চব্বিশ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও রেফারি বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। চায়ের দোকান থেকে সমাজমাধ্যম, সব জায়গায় আলোচনার বিষয় রেফারি ভেঙ্কটেশ। লাল-হলুদ কর্তা থেকে সমর্থক, কেউ মানতে পারছেন না শনিরাতের ভেঙ্কটেশের সিদ্ধান্ত। তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার যে ইস্টবেঙ্গল, এই বিষয় সবাই প্রায় একমত।
ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার শনিবারই বলেছিলেন, এই এক বিষয় প্রতিক্রিয়া দিতে দিতে তাঁরা ক্লান্ত। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল। ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হওয়াই শুধু নয়, মোহনবাগানের গোল নিয়েও সংশয়ী তিনি।
Advertisement
অন্যদিকে, বৈপ্লবিক অভিমত ইস্টবেঙ্গলের সহ সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তর। রবিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,’আমাদের দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিচার সব সময় ঠিকঠাক হয় না। সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে ফুটবলে। আমরা এআইএফএফ, এএফসি বা ফিফায় যেখানেই যাই, ফল একই হবে। এ এক অদ্ভুত নিয়ম। এর কিভাবে নিস্তার পাওয়া যাবে, কে জানে।’
Advertisement
ঘটনা হল, এই মরসুমের প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার বলে অভিযোগ। আইএসএল-এর মহমেডানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের দু’জন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এর মধ্যে নন্দকুমারের কার্ড দেখা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। এরপর ওড়িশার বিরুদ্ধেও ইস্টবেঙ্গলকে দশজনে খেলতে হয়। এখানেই শেষ নয়, প্রবল বিতর্ক তৈরি হয় হায়দরাবাদ ম্যাচ ঘিরেও। ওই ম্যাচে হায়দরাবাদের গোলকিপার পা চালান ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটনের তলপেট লক্ষ্য করে। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি বা কার্ডও দেখাননি গোলকিপারকে। গোলকিপার বা রেফারি, কারও বিরুদ্ধে শাস্তি নিতে পারেনি নিয়ামক সংস্থাও।
সমর্থকদের অনেকেই আইএসএল কর্তৃপক্ষের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা কোনও চক্র জরিত নেই তো? ওয়ান এক্স বিএটি নিয়ে সন্দেহ সহ সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তরও।
তাঁর কথায়, মুনাফাই যেখানে শেষ কথা, সেখানে অনেক কিছুই হতে পারে। এফএসডিএল-এর ফুটবলবোধ নিয়েও সন্দিহান তিনি।
সব মিলিয়ে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে আইএসএল।
Advertisement



