মঙ্গলবার লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি রওনা দেবেন। সেখানে পৌঁছে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপার্সন ওমরাহ পালন করতে পারেন। ঠিক কবে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশযাত্রার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খালেদার সঙ্গে যাবেন তাঁর বড় ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর (প্রয়াত ) স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চিকিৎসক, বিএনপির কয়েকজন নেতা, ব্যক্তিগত কর্মী ও দু’জন গৃহকর্মী থাকবেন। রবিবার রাতে শীর্ষ বিএনপি নেতারা খালেদার ঢাকার বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রবিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।
Advertisement
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের মাঝে দ্রুত ফিরে আসুন। সংগ্রামে নেতৃত্ব দিন। বিএনপি যেন গণতন্ত্রের পক্ষে, দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। তিনি ডায়াবেটিস ও লিভার সিরোসিসেও ভুগছেন। ৭ বছর পর লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেখা হবে। ছেলের বউ জোবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানও খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন বলে দাবি বিএনপির।
Advertisement
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরে রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। পরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁকে লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ মেনেই অবশেষে চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement



