২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। সেই অবরোধের জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে রেল। সেই ক্ষতির জন্য এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মনের কাছে ৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। রেলের বক্তব্য, আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পাল্টা বংশীবদনের বক্তব্য, ওরা যা খুশি করুক। চাইলেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাকি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। এর ফলে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করতে হয়। কয়েকটি ট্রেনকে আবার ঘুরপথে চালাতে হয়। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রচুর যাত্রী টিকিট বাতিল করেন। এছাড়া ওই দিন বেসরকারি বাস ভাড়া করে যাত্রীদের পরিষেবাও দিয়েছে রেল। সব মিলিয়ে রেলের ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।
Advertisement
সেই ক্ষতিপূরণের টাকাই সংগঠনের অন্যতম নেতা বংশীবদনের কাছে দাবি করেছে রেল। সূত্রের খবর, অবরোধের পর বংশীবদনকে সমন পাঠিয়েছিল রেলের সুরক্ষা বাহিনী। কিন্তু সেই সমন মেনে হাজির হননি বংশীবদন। এরপরই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন প্রধানের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে রেল। রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপত সনপ বলেন, ওইদিন রেল অবরোধের কারণে মোট ৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Advertisement
এর আগেও একাধিকবার রেল অবরোধ করেছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু এভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা চেয়ে কখনওই চিঠি দেয়নি রেল। বংশীবদন বর্মন অবশ্য জানিয়েছেন তিনি কোনও চিঠি পাননি। তাঁর বক্তব্য, আমি এখন পর্যন্ত হাতে রেলের কোন চিঠি পাইনি। ওরা যা খুশি করুক। চাইলেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাকি। ভারতভুক্তির চুক্তি অনুসারে কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
Advertisement



