• facebook
  • twitter
Saturday, 13 December, 2025

১০ দিন ধরে রেইকি দুষ্কৃতীদের, মালদহে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় স্পষ্ট বিহার-যোগ

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হল পুলিশ। ন

ফাইল চিত্র

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হল পুলিশ। নভেম্বর মাসে কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার ঘটনাতেও বিহার যোগ পাওয়া গিয়েছিল। মালদহ কাণ্ডেও কার্যত বিহার যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বাবলাকে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা ১০ দিন ধরে রেইকি করেছিল। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আলাদা আলাদা হয়ে বিভিন্ন গলিপথে মানিকচকে পৌঁছে সেখান থেকে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

বাবলাকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ সামি আখতার। তিনি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা। অপরজনের নাম টিঙ্কু ঘোষ। তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজারের গাবগাছি অঞ্চলে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিহার থেকেও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুষ্কৃতীদের মধ্যে কয়েকজনকে ইংরেজবাজারের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুলদীপ মিশ্র কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবলার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের তারা এলাকায় ঢোকে। তারপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেন, বাবলাকে খুনের ঘটনায় ১০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ”১০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে বিহার থেকে দুষ্কৃতী এনে দুলালকে খুন করা হয়েছে। নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের কর্তারা।”

Advertisement

বড়দিনে বাবলাকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু বাবলাকে একা না পাওয়ায় সেইদিনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। প্রতি বছরের মতো গত বছরেও ইংরেজবাজারের ভবানী মোড়ে নিজের দপ্তর লাগোয়া অঞ্চলে বড়দিনের অনুষ্ঠান করেন এই তৃণমূল নেতা। ওই দিন সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন বাবলা। অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে অনেক লোক থাকায় খুনের পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।

বৃহস্পতিবার গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা বাবলা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবলার গাড়ির চালক। চালকই প্রথম বুঝতে পারেন যে বাইকে চেপে কয়েকজন গাড়ির উপর নজর রাখছে। তৃণমূল নেতাকে সেই কথা জানান তাঁর গাড়ির চালক। তিনি বাবলাকে গাড়ি থেকে নামতে বারণও করেন। এই কথা শুনে ‘কোন মাতব্বর কী করবে’ একথা বলে গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে যান বাবলা। তারপর তাঁকে তাড়া করে চারজন দুষ্কৃতী। প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূল নেতা দৌড়ে একটি প্লাইউড কারখানায় ঢুকছে। তাঁর পিছনে বন্দুক হাতে গুলি করতে করতে ছুটছে দুষ্কৃতীরাও। বাবলার মাথায় ও পিঠে একাধিক গুলি লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement