• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ডেলিভারি এজেন্টরা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা, গিরিরাজের মন্তব্যে শোরগোল

বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারতের হুঁশিয়ারিও পরেও এই জাতীয় ঘটনা কমার কোনও লক্ষণ নেই।

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারতের হুঁশিয়ারিও পরেও এই জাতীয় ঘটনা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এহেন পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। শনিবার তিনি বলেন, ভারতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গারা, যারা খাদ্য সরবরাহ এবং শপিং প্ল্যাটফর্মের জন্য ডেলিভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন, তাদের চিহ্নিত করা উচিত।

হায়দরাবাদে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির সমাবর্তনে গিরিরাজ সিং বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জোমাটো, সুইগি, ফ্লিপকার্টের মতো পরিষেবা খাতে ডেলিভারি বয়রা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা। তাঁদের চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা উচিত।

Advertisement

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, বাবর ৫০০ বছর আগে অযোধ্যায় যা করেছিলেন, আজ বাংলাদেশ এবং সম্বলেও তাই হচ্ছে। তিনজনের প্রকৃতি, তিনজনের ডিএনএ একই রকম। গিরিরাজ সিংও যোগীর বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি।

Advertisement

গিরিরাজ সিং বলেন, দেখুন আমাদের শত্রুরা প্রতিবেশী দেশগুলিতে কী ধরনের কার্যকলাপ করছে, কেউ যদি কোনও বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে, তবে এটি মনে রাখবেন। ৫০০ বছর আগে, বাবরের একজন সেনাপতি অযোধ্যায় কিছু কাজ করেছিলেন, সম্বলে একই রকম কাজ করেছিলেন এবং আজ বাংলাদেশে যা হচ্ছে। তিনটির প্রকৃতি এবং ডিএনএ একই।

গিরিরাজ সিং মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকেও নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান গঠনের জন্য ভারত ভাগ হয়েছিল, পাকিস্তানে হিন্দুদের ধ্বংস করা হয়েছিল, আজ বাংলাদেশেও তাই হচ্ছে। জিন্নার ডিএনএ পাকিস্তানে ছিল এবং জিন্নার ডিএনএ বাংলাদেশেও আছে। তিনি আরও বলেন, জিন্নার ডিএনএও সম্বলে রয়েছে। ওয়াইসির ভিতরেও জিন্নার জিন ঢুকে গিয়েছে।

ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে। মন্দিরও ভাঙচুর করা হচ্ছে। দেশে ইসকনের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হলে হিন্দুরা ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদ করছেন। এই সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনাও সামনে এসেছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের সময়, হিন্দু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়েছিল এবং তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তাদের ব্যবসা ধ্বংস করার চেষ্টাও করা হয়েছিল।

Advertisement