• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কৃষ্ণনগরে কাজী নজরুল ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ

কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজ ২০১২ সাল থেকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজ ২০১২ সাল থেকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সেখানে ‘সুজন বাসর’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে নজরুল পাঠাগার। নিয়মিতভাবে সেখানে নজরুল বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান হয়। কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬) সারাজীবন মানবতার জয়গান গেয়েছেন।

পাশাপাশি তাঁর অনুজ কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও (১৯২০ – ১৯৮৫) তাঁর কবিতায় সমকালীন মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, অভাব, অনটনের কথাই তুলে ধরেছেন। মানুষের দুঃখে তাঁর প্রাণ কেঁদেছে প্রতিনিয়ত। সেকারণেই হয়তো নজরুলের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল হয়েছেন তাঁর কবিতায়। মণীন্দ্র রায় লিখেছেন, ‘বীরেন্দ্রর সব কবিতাই মানুষের জন্য, মানুষের যন্ত্রণার জ্বালা তীব্র হয়ে বাজে তাঁর কবিতায়।’

Advertisement

গত ২৪ নভেম্বর নজরুল স্মৃতিবিজড়িত গ্রেস কটেজে সমমনস্ক এই দুই কবির মানবতাবোধ নিয়ে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণনগর কথাশিল্প এক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে দুই কবি সম্পর্কে আলোচনা, গান, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক সংস্থা ছায়ানটের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সোমঋতা মল্লিক, এই দুই কবিকে নিয়ে কেন এই আয়োজন সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। ‘মানুষের কবি নজরুল’ বিষয়ে আলোচনা করেন দীপাঞ্জন দে, ‘মানুষের কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ বিষয়ে আলোকপাত করেন পীতম ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক ইনাস উদ্দীন। সোমঋতা মল্লিকের কণ্ঠে নজরুলের দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

Advertisement

ছায়ানট (কলকাতা) – এর পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, মিতালী মুখার্জী, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, রাজশ্রী বসু, দেবলীনা চৌধুরী এবং অপরাজিতা মল্লিক।

আমন্ত্রিত আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত গাঙ্গুলি, দীপংকর ঘোষ, শম্পা চৌধুরী নাগ, উপাসনা মুখার্জি। দলীয়ভাবে আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন কথাশিল্প, উচ্চারণ, শিব কথামাল্য আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক চর্চা কেন্দ্র এবং স্বরলিপি সঙ্গীত কেন্দ্র-এর শিল্পীবৃন্দ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অন্বেষা মোদক।

Advertisement