তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুরুগু জেলার এতুরনগরম মণ্ডলের চালাপাকা জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের সঙ্গে অ্যান্টি মাওয়িস্ট ফোর্স গ্রেহাউন্ডসের সংঘর্ষ হয়। নিহতদের মধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রেহাউন্ডস কর্মীরা জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় একদল মাওবাদী দেখতে পায়। বাহিনীর তরফে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলে গুলি বিনিময় শুরু হয়। মাওবাদীরা গ্রেহাউন্ডস কমান্ডোদের উপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
শীর্ষ মাওবাদী নেতা বদরুকেও নিহত চরমপন্থীদের মধ্যে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বদরু সিপিআই (মাওবাদী)-র ইয়েলান্দু-নরসাম্পেটা এরিয়া কমিটির সম্পাদক এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মাওবাদীদের নাম কুরসাম মাঙ্গু ওরফে বদরু ওরফে পাপান্না (৩৫), এগোলাপু মাল্লাইয়া ওরফে মধু (৪৩), মুসাকি দেবল ওরফে করুণাকর (২২), জয় সিং (২৫), কিশোর (২২), কামেশ (২৩) এবং মুসাকি যমুনা (২৩)।
Advertisement
ঘটনাস্থল থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। গত কয়েক বছর মুলুগু জেলায় এটি প্রথম বড় এনকাউন্টার। সম্প্রতি মাওবাদীরা এই এলাকায় তৎপরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে খবর পায় পুলিশ।
সম্প্রতি এই জেলায় মাওবাদীদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। গত ২১ নভেম্বর মুলুগু জেলায় পুলিশের চর সন্দেহে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করে মাওবাদীরা। মাওবাদীরা ওয়াজেদু মণ্ডলের সদর দপ্তর পেনুগোলু কলোনীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন – উয়িকা রমেশ এবং উয়িকা অর্জুন। রমেশ একই মণ্ডলের পেরুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পাদক ছিলেন।
হামলাকারীরা মৃতদেহের কাছে একটি চিরকুট রেখে যায়। যাতে লেখা ছিল, রমেশ ও অর্জুন তথ্য সংগ্রহ করছে এবং মাওবাদী বিরোধী অভিযানে জড়িত রাজ্য পুলিশের একটি সংস্থা স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি)-কে দিচ্ছে।
Advertisement



