খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এই মর্মে মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মৃত শিশুটির বাবা সুদীপ দাস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা হাসপাতালের সুপার হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়েই ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই কমিটিতে অনাস্থা জানিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানান সুদীপবাবু। এরপরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চার সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তৈরি করে দিয়েছেন। এই কমিটির সদস্যরা হলেন ডেপুটি সিএমওএইচ থ্রি ডা: সুদীপ মণ্ডল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রানু ঘোষ পাল, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপক কুমার পাল এবং ডিপিএইচএনও শ্রীলতা মণ্ডল।
খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরভ সেনাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুদীপবাবু। সুদীপবাবুর স্ত্রী নিরাশা দাস ঘোষের প্রসব হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ছিল ১৫ নভেম্বর । কিন্তু তার আগে ৬ নভেম্বর তার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তি করেন। দু’দিন বাদে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার দুদিন পর ১৮ নভেম্বর সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক সিজার না করে সাধারণ প্রসবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় ঐ দিন রাতে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা রোগীকে পরীক্ষা করে বলেন, গর্ভস্থ শিশুটি মারা গিয়েছে। আরও আগে প্রসূতিকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যেত। এরপরেই মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ জানান সুদীপবাবু।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



