একদিকে কসবা অন্যদিকে জোড়াবাগান, দুই ক্ষেত্রেই ধৃতদের পূর্ব অপরাধের হদিশ পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এবার তার থেকে শিক্ষা নিয়েই প্রতি থানার ‘রাফ রেজিস্টার’ আপডেটের নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় কতজন দাগী আসামী বা দুষ্কৃতী আছে তাদের নাম, ঠিকানা নথিভুক্ত থাকে এই রাফ রেজিস্টারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সেই রাফ রেজিস্টার ফাঁকা থাকছে একাধিক থানায়। এবার সেই তালিকা যথা সময়ে আপডেট করার নির্দেশ দিল লালবাজার। একই সঙ্গে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে রেজিস্টার দেখে দাগী আসামীদের উপরে নজরদারি এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর কসবায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে এক কিশোর দুষ্কৃতী। ধৃত কিশোর যুবরাজকে জেরা করে বেরিয়ে আসে ‘মাস্টারমাইন্ড’ গুলজারের নাম। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে পুরপ্রতিনিধিকে খুনের চেষ্টায় আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল গুলজার। শুধু তাই নয়, তাকে পাপ্পু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগে সাহায্য করেছিল বিহারের বেউড়ের এক জেলবন্দী। বর্তমানে ধৃতরা সকলেই বন্দী কলকাতা পুলিশের হাতে। তাদের একাধিক ক্রিমিনাল রেকর্ড পেয়েছে কলকাতা পুলিশ।
Advertisement
অন্যদিকে, রবিবার প্রকাশ্য রাস্তায় জোড়াবাগানে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় অমিত সোনকার নামে এক যুবককে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত উত্তম সোনকারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে জেলমুক্তি মুক্তি ঘটেছে তার। তাই সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া এই দুই ঘটনা থেকে এবার শিক্ষা নিতে চাইছে লালবাজার। সেই মতো প্রতিমাসে আপডেট করতে হবে ‘রাফ রেজিস্টার’।
Advertisement
Advertisement



