অ্যাক্রোপলিস মলের অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। সাতসকালে উল্টোডাঙায় রেললাইনের পাশের বস্তিতে আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতা পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু ঘটনাস্থলে যান। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উল্টোডাঙায় রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি। দমকলকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর জন্য কাজে হাত লাগায় স্থানীয়রাও। ঘিঞ্জি বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। কী কারণে এই বিধ্বংসী আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
Advertisement
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসনের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
Advertisement
অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, আগুনের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের গাড়ি। এলাকার বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আশপাশে ঘনবসতি থাকায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। দমকল বাহিনী ও এলাকাবাসীর তৎপরতায় পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয় বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডেও এসে হাজির হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Advertisement



