নাবালিকা নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার দাদুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর চাঁদা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ অবস্থায় নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দাদুর এই কর্মকাণ্ডের জেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মা মারা যাওয়ার পর দাদুর বাড়িতেও থাকত দুই নাবালিকা। কয়েকদিন পর থেকে দাদুর আচরণে বদল আসতে থাকে। অভিযোগ, ওই দুই নাবালিকার মধ্যে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত দাদু। ঘুমের ওষুধ খেয়ে নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে চলত অত্যাচার। কাউকে কিছু বললে নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। দাদুর ভয়ে কাউকেই কিছু বলতে পারত না ওই নাবালিকা।
Advertisement
রবিবার দুপুরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। তাঁকে ঘিরে সকলেই চিন্তায় পড়ে যায়। এরপর প্রতিবেশী এক মহিলাকে দাদুর কুকীর্তির কথা খুলে বলেন নাবালিকা। ওই প্রতিবেশীর তৎপরতায় বনগাঁ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। তারপর নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতিতাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিভাবকের বিরুদ্ধেই এই গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
Advertisement
Advertisement



