একটি সাক্ষাৎকারের সন্ধানে

Written by SNS March 31, 2024 1:27 pm

অনিন্দিতা মণ্ডল

সবে তুমুল বৃষ্টিটা ধরেছে৷ রেস্তোরাঁর কাচ-ঢাকা জানলা বেয়ে জলের আলপনা নামছে৷ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অন্দরে বসে অপেক্ষা করছি৷ চাকরির শুরুতেই এমন একটা সাক্ষাৎকারের সুযোগ পেয়ে আমি সপ্তম স্বর্গে৷ কলিগদের কেউ কেউ অবশ্য এমন ছেলেমানুষিতে হেসেছিল৷ স্বর্গ থেকে পড়লে কিন্ত্ত হাত-পা ভাঙবে৷ মনও৷

এমন বৃষ্টিতে তাঁর আসতে অসুবিধে হয়েছে হয়ত, হয়ত নতুন শহরে তাঁর গতিবিধি অন্যের ওপরে নির্ভরশীল৷ কিংবা তাঁর সঙ্গে যিনি গাইড হয়ে আসছেন সেই তাঁর ওপরেও আসাটা নির্ভর করছে৷ বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি বলে আমার তাঁকে চিনতে এতটুকু অসুবিধে হবার কথা নয়৷ বরং গত তিনটে দিন ধরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সমানে শ্যাডো প্র্যাক্টিস করেছি৷ কীভাবে সাক্ষাৎকার নেব, প্রশ্নগুলো কেমন করে সাজাব, সম্ভাব্য উত্তর কেমন হতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি৷ প্রতিটি উত্তরের পর মনে হয়েছে নেহাত ছেলেখেলা৷ আসল মানুষটা এই খেলার ওপরে৷ অথচ গেমপ্ল্যান বানাতেই হবে৷ দেড় ঘণ্টার সাক্ষাতে আমাকে তাঁর বলা সব কিছুকেই ছকে ফেলতে হবে৷ আমি যা জানতে চাইছি আর তিনি যা বলতে চাইছেন এই দুটি বিন্দু যেন মিলে যায়৷

সব ঠিক চললে আশা করি কোনো বিতর্কিত বিষয় আমাদের অস্বস্তিতে ফেলবে না৷ ফেললেও আমরা তা ভদ্রতার সুগারকোটিং দিয়ে মুড়ে নিতে পারব৷
সামনে টেবিলের ওপরে রাখা হলদে টিউলিপটার দিকে চেয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে চাইলাম৷ ভিনদেশি শুধু নন, একেবারেই অজানা তাঁর দেশীয় সাহিত্য সংস্কৃতির জগতকে জানতে মোটামুটি হোমওয়ার্ক করেছি৷
ওয়েটার ছেলেটি সামনে এসে দাঁড়াল৷ মিষ্টি হাসি৷ চোখে জিজ্ঞাসা৷ আমিও হাসলাম৷ বর্ষার সকালে এ পাড়ার সুসজ্জিত ক্যাফেগুলোকে যেন অন্য কোথা থেকে এনে বসানো হয়েছে৷ এটি একটি ইটালিয়ান জয়েন্ট৷ অত্যন্ত অভিজাত ও দামি৷ ওয়েটারটিকে ইশারা করলাম, ভার্জিন মোহিতো একটি৷

মিন্ট আমার ভালো লাগে৷ ছোট্ট সিপ দিতেই ভেতরে শীতল তরল ছড়িয়ে গেল৷ অতিথির জন্য কিছু বলিনি৷ আমি জেনেছি তিনি কফি পছন্দ করেন৷ কিন্ত্ত ভারতীয় কফির স্বাদ কি ভালো লাগবে তাঁর? অপেক্ষা করতে থাকি৷ মোবাইলে চোখ রাখি৷ নিউজ পোর্টালগুলোয় ঘুরতে থাকি৷ আজকের উল্লেখযোগ্য খবর কী কী, দেখতে থাকি৷ চোখ বোলাই৷ সুন্দরবনের গ্রামে ক্ষেতের জমি বাঘে খাচ্ছে৷ মেয়েরা জলে ভেসে যাচ্ছে৷ তাদের পরনের শতছিন্ন কাপড় সুঁদরির শ্বাসমুলে লেগে থাকছে৷ পুরুষদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না৷ তারা দরিয়ায়৷ তাদের মাটি নেই৷ কোনো পারে কোনো মাটি নেই৷ অন্য একটা খবর ভেসে এলো৷ দূর উত্তরভারতে গুলিতে মারা গেল একটি উনিশ বছরের কলেজপড়ুয়া৷ গমের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া মনে করে কি কেউ টার্গেট প্র্যাকটিস করছিল? কী জানি! কলিগদের কেউ কেউ আমার এই অদ্ভুত ইন্টারপ্রিটেশনগুলো শুনে হাসে আবার বিরক্তও হয়৷ টেক ইট অ্যাজ ইট ইজ! পারি না৷ মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়৷ এক গ্রামের বটতলা নিয়ে মারামারি৷ ধর্মের ব্যাপার৷ সাম্প্রদায়িক নয়৷ একই সম্প্রদায়, তবু৷ চোখ রাখি৷ দেখি, বটতলায় যে তিনটে কালো লম্বাটে পাথর আছে তাকে ঘিরে অনেক গ্রামবাসী৷ পাশেই তেকোনা লাল-হলুদ ঝাণ্ডা হাতে মাথায় ফেট্টি কতোগুলো অন্য প্রদেশের মানুষ৷ তাদের মাঝখানে একজন হাতে একটি মূর্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে৷ দু’পক্ষে প্রবল মারামারি৷ বটতলা কার? এই নিয়ে বিরোধ৷ সরে এলাম৷ সরতে সরতে দেখলাম একই সপ্তাহে তিনটি বিগ বাজেট ছবি রিলিজ করেছে৷ বক্স অফিস হিট৷ কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে৷ তিনটিই জাতীয়তাবাদী ছবি৷ আরে! এই প্রশ্নটা তো রাখিনি?

আমার ভাবনার মাঝেই অতিথি কখন সামনের চেয়ার ঠেলে বসেছেন দেখিনি৷
স্নিগ্ধ সদ্যস্নাত চেহারাটি সদ্য বৃষ্টিধোয়া প্রকৃতির মতোই৷ মাথার কাঁচাপাকা কোঁকড়া চুল পরিপাটি করে ব্যাকব্রাশ করা৷ পরনে বাদামি রঙের সামার সু্যট৷ চোখে চশমা নেই৷ ঝকঝকে দুটো চোখ৷ পুরু ঠোঁটের পাশেই গালে না হাসলেও টোল৷ তিনি হাত দুটি জোড় করলেন৷ আমি মাথা নোয়ালাম৷

ওয়েটারকে ডেকে ওদের স্পেশাল কফিটির অর্ডার দিলাম৷ অতিথি হাসলেন, কফি আমি খাওয়াই? —তা কেন? আপনি আজ আমাদের অতিথি, আমি বলি৷ উনি আবার হাসলেন, আপনাদের অতিথি? —মানে আমাদের দেশে এই প্রথম এলেন আপনি৷ অতিথিই তো৷ আমার সপ্রতিভতা যেন ঢাকা পড়ছে৷ —এই আপনার দেশ? উনি জানতে চাইলেন৷ —আমি এদেশেই জন্মেছি৷ আমার বাবা শিশু বয়সে এদিকে আসেন৷ —কেন? —আমাদের একটাই দেশ ছিল৷ তারপর দেশভাগ হল, আর আমরা এদেশে চলে এলাম৷ —দাঁড়ান দাঁড়ান, একটু বুঝে নিই৷ আপনি এখানে জন্মেছেন অতএব আপনি এদেশের নাগরিক৷ আর আপনার বাবা, বা তাঁর বাবা এদেশেরই নাগরিক৷ দেশভাগ হলে আপনাদের গ্রামগুলো অন্য দেশে চলে গেল আর আপনারা এদিকটায় চলে এলেন৷ তাহলে তো আপনারা আগেও এদেশে ছিলেন এখনও আছেন৷ তাই না? —হ্যাঁ তাই৷ আমি কুণ্ঠিত৷ —তবে আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন ওই দেশে থেকে গেছেন৷ দুটো আলাদা দেশ এখন৷ উনি কফিতে চুমুক দিয়ে একটা আরামের শব্দ করলেন— দারুন কফি৷ বেশ ভালো৷ এমন কফি খাইনি৷ জানি মানুষটা খুব ভালো৷ তাই হয়ত সামান্য কফির এত প্রশংসা করছেন৷ আমি প্রশ্ন গুছিয়ে নিতে থাকি৷ আপনি কি রিফিউজি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন? নাকি অন্য কারণে? কিন্ত্ত প্রশ্নটা থেকে যায় আমার মনে৷ তার আগেই তিনি প্রশ্ন করে বসেন, আপনার ঠাকুরদা যখন চলে এলেন তিনি কি রিফিউজি হয়ে চলে এলেন? নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল? আমি স্তব্ধ৷ ইনি আমার মন পড়তে পারছেন! ঢোঁক গিললাম৷ আত্মবিশ্বাস হাওয়া৷ আমাকে না বলেই বোধ হয় আমার আত্মবিশ্বাস মিষ্টি ওয়েটারটির সঙ্গে প্রেম করছে৷ বললাম, রিফিউজি ঠিক নয়, কারণ আমার বাবার পিসিদের বাড়ি এদিকেই ছিল৷ ঠাকুরদার অসুবিধে হয়নি৷ কাজও পেয়েছিলেন৷ ইংরিজি জানতেন খুব ভালো৷ উনি টেবিলে ঝুঁকে এলেন— আসলে দুটো শর্ত পূরণ হয়েছে৷ এক, পারিবারিক একটা সুতো এদিকে ছিলই৷ দুই, উনি প্রভুদের ভাষাটি আয়ত্ব করেছিলেন৷ ওদের ভাষায় ওদের প্রয়োজনমতো শিক্ষিত হয়েছিলেন৷ ফলে, আপনারা রিফিউজড হননি৷ মাইগ্রেটেড হয়েছেন৷ আহারের জন্য বাসস্থানের জন্য সভ্যতার আদি থেকে মানুষ মাইগ্রেটেড হচ্ছে৷ উনি চেয়ারে আরাম করে হেলান দিলেন৷ আমি ততক্ষণে প্রশ্ন ভেবে ফেলেছি৷ ছক উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে৷ বাঁধা গতে হবে না৷ না হোক, এও তো ইউনিক৷ জিজ্ঞেস করে ফেললাম— আপনি দেশ ছাড়লেন কেন? চুপ করে থাকলেন খানিক, তারপর বললেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এত জায়গায় দিয়েছি যে বলতে বলতে মুখস্থ হয়ে গেছে৷ যেমন, পড়াশুনোর জন্য ছেড়েছি৷ কিন্ত্ত এটা আসল উত্তর নয়৷ যা বলা হয়নি তা হল, আমার জন্মের দেশ আর আমার যৌবনের দেশের কর্তা এক৷ সুতরাং জিনিসটাকে যদি এইভাবে দেখো যে আমি শুধু এক ডিস্ট্রিক্ট থেকে আর এক ডিস্ট্রিক্ট গিয়েছি, আগের জেলায় হয়তো বড় নদী আছে যেটা পেরিয়ে যেতে হতো রোজ, বা সেই জেলায় আমাদের ক্ষেতে কাজ করার লোক বেশি লাগে, শিক্ষিত লোকের প্রয়োজনই নেই, তাহলে তোমার প্রশ্নের উত্তরটা সোজা৷ আমি শুধু নদীর বদলে সমুদ্র পেরিয়েছি৷ ক্ষেতে কাজ করার বদলে শিক্ষিত চাকুরে হতে চেয়েছি৷

কফি জুড়িয়ে এসেছে৷ জানলায় একফালি শ্রাবণের রোদ এসে পড়েছে৷ আমি দ্রুত নোটপ্যাডে লিখে নিচ্ছি৷ ওঁর মুখের চামড়া কেমন কর্কশ৷ চাষিদের যেমন হয়৷ টেবিলে রাখা হাত দুটো কলম ধরার বদলে লাঙল শাবল ধরার মতো৷ মোটা মোটা গাঁটওলা আঙুল৷ গাঁটে কড়া পড়েছে৷ আমার দৃষ্টি অনুসরণ করে উনি বললেন— আমাদের জন্মের জেলায় এমন বর্ষায় মাটি লাল থকথকে কাদায় ভরে যায়৷ সেখানে তুমি যাই ফেলো না কেন সোনার ফসল হবে৷ আমরা মাথায় পাতার টোকা দিয়ে পায়ে ঘাসের লম্বা জুতো পরে মাঠে নামি৷ মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে ফসল কেটে তুলি৷ তারপর সেই ফসল নিতে আসে আড়কাঠির দল৷ প্রভুদের কাছে জমা হয়৷ আমরা ফসল কেটে তোলার পর মাঠ থেকে ধেড়ে ইঁদুরের মতো পড়ে থাকা ফসল কুড়িয়ে তুলি৷ কখনও কখনও মাঠে ইঁদুরের গর্ত থেকেও ফসল চুরি করি৷ আড়কাঠি যা দিয়ে যায় তা আসলে আমাদের পূর্বপুরুষের ঋণের ওপরে আর একটু বাড়তি বোঝা৷ তখনও জেলায় ইশকুল ছিল একটা৷ প্রভু যে ভগবানের নামেই এমন করে আমাদের যত্ন করেন সেই ইশকুলে না গেলে জানা হতো না৷ জানা হতো না পূর্বপুরুষের পাপেই আমাদের এমন হেনস্থা৷ নাহলে আমাদের মতন সরল, সাত চড়ে রা না কাড়া লোকের এমন দুরবস্থা হবে কেন? মড়ক লেগে রোজ রোজ এত লোকে মরবেই বা কেন? এসব বিধাতার বিধান৷ আমরা বিধাতাকে দেখিনি৷ আমাদের পাপ চোখ৷ তাই সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে সব লোক আমাদের শিক্ষা দিতে এলো৷

শিক্ষা আলো দেয়৷ আলো পেয়ে কেউ কেউ সাগর পেরিয়েছিল৷ তাদের আর এদিকে আসা মানা৷ খুঁজে খুঁজে তাদের কাছেই এলাম৷
আমি মাথা নীচু করে শুনছিলাম৷ আমাদের বিঘে বিঘে চাষের জমি রয়ে গেছে ওপারে৷ আমাদের ভিটে চলে গেছে৷ গাঁয়ের সেই খ্রিস্টান মিশনের স্কুলে বাবা পড়েছিল কি? ঠাকুরদা তো নিশ্চয় পড়েছিল৷ গল্পটা হুবহু এক৷ একটুও আলাদা নয়৷ আমাদেরও ওদিকে যাওয়া মানা৷ কেউ কেউ এখনও খুঁজে খুঁজে চলে আসে আমাদের কাছে৷
অতিথির দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছি৷ সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে৷ আমি শেষ চেষ্টা করলাম৷
—আপনি আপনার লেখায় কী ধরতে চেষ্টা করেছেন? আপনার ব্যক্তিগত যন্ত্রণা? নাকি আপনার জাতিগত বঞ্চনা?
—নাঃ৷ আমি যন্ত্রণার কথা লিখিনি৷ যন্ত্রণার বোধ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে৷ ব্যক্তি আর জাতি তো আলাদা কিছু নয়৷ আমি বুঝিনি৷ বঞ্চনাও জানি না৷
—তাহলে আপনি কী লিখেছেন?
—আমি পৃথিবীর এখনকার অধিবাসীদের কথা লিখেছি৷ পৃথিবীটাকে দূর থেকে দেখলে যেমন লাগে তার ওপরে আমি কাটাকুটি খেলেছি৷ সেই কাটাকুটি খেলায় আমি এক একটা খণ্ড আলাদা করেছি৷ আর খুব কাছ থেকে লক্ষ করেছি৷ দেখেছি, মানুষ আসলে ইঁদুরের মতন৷ আর একটু বেশি লোভী৷

ওঁর চোখের দিকে চাইতে আমার ভয় করছে৷ হঠাৎ উনি ওঁর সেই শক্ত হাত দুটোতে আমার হাতটা চেপে ধরলেন৷ হাসিতে মুখ ভরিয়ে বললেন, এই সাজানো কফিশপে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে৷ কেমন মনে হয় আড়কাঠি সব নজরে রাখছে৷ এই যে তুমি আর আমি কাটা মাঠ থেকে ফসল কুড়চ্ছি সেটা নজরে রাখছে৷
বিহ্বল হয়ে যাচ্ছি৷ কী বলছেন উনি? আমার বোধ হারিয়ে যাচ্ছে৷ উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে কফিতে শেষ চুমুক দিলেন৷ ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আমিও উঠেছি৷

বাইরে এসে দেখলাম কোথাও একটুও বৃষ্টির চিহ্ন আর নেই৷ কফিশপের লাগোয়া ফুটপাতে সাজানো গাছের সারিগুলো সবুজ ঝকঝকে হয়ে গেছে৷ ওঁকে ভালো করে দেখছি৷ কপালে মুখে অজস্র ভাঁজ৷ ভারী সুদর্শন৷
এম্ব্যাসির গাড়িটা এসে গেছে৷ বৃষ্টি শুরু হল৷ যাবার আগে একবার বললেন, প্রভুদের ভাষাটাই যে আমাদের হাতে শাবল লাঙল অস্ত্র হয়ে গেছে সেটা ওরাও টের পায়নি৷ সেকথা আমি কোথাও বলি না৷ তোমাকেও কিন্ত্ত বলিনি হে, বুঝলে? গাড়িটা চলে যেতে যেতে বৃষ্টির ধারায় ঢাকা পড়ে গেল৷

দিনের শুরুতেই এমন বৃষ্টি ভালো লাগে না৷ কাজ পণ্ড হয়৷ কফিশপের ভেতরে গেলাম৷ সামনে এসে ওয়েটারটি চেয়ার এগিয়ে বসতে সাহায্য করল৷ আমি বসে পড়লাম৷ টেবিলটা নিপাট৷ ওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করল, কী দেবো স্যার? বললাম, ভার্জিন মোহিতো একটা৷ গ্লাসে ছোট্ট সিপ দিলাম৷ আর তখনই ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, আপনার সঙ্গে কি আজ একজন নোবেল লরিয়েটের দেখা হওয়ার কথা?