হু-র পরীক্ষায় উদ্বেগ, চিকিৎসায় কাজ করছে না রেমডেসিভি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করে রােগীদের উপর কার্যত কোনও কাজই করছে না রেমডেসিভি’র। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরীক্ষামূলক প্রয়ােগে

Written by SNS Delhi | October 17, 2020 2:47 pm

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)'র ডিরেক্টর টেড্রস আধানম। (File Photo: AFP)

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করে রােগীদের উপর কার্যত কোনও কাজই করছে না রেমডেসিভির। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরীক্ষামূলক প্রয়ােগে। চিকিৎসায় একমাত্র স্বীকৃত ওষুধ ভারতেও দেওয়া হচ্ছে করেনার চিকিৎসায়। কিন্তু সেই রেমডেসিভির নিয়ে সমীক্ষায় উঠে এল এমন তথ্য, যা করোনা-যুদ্ধে হতাশা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

সারা বিশ্বের ৩০ টি দেশের প্রায় ১১ হাজাকেরও বেশি মানুষের উপর এই ওষুধ প্রয়ােগ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার ফলাফল ইন্টারনেটে অনলাইন হতেই উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসক-গবেষক বিশেষজ্ঞদের। শুরু হয়েছে বিকল্প ভাবনা। অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির- কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনস্ট্রেশন।

তার পর থেকে ভারত সহ বহু দেশই এই ওষুধের প্রয়োগে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই মতাে গুরুতর করেনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারও হচ্ছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উঠে এসেছে, করােনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির- এর কার্যকারিতা শুন্য। কোভিড রোগীদের হাসপাতালে থাকার মেয়াদ কমাতে ব্যর্থ। অর্থাৎ চিকিৎসায় দ্রুত আরােগ্য লাভ করছেন কোভিড আক্রান্ত, এমন কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি। একই ভাবে মৃত্যু রুখতেও কোনও কাজ করছে না রেমডেসিভির, দাবি হু-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের প্রাথমিক বিশ্লেষণে।

করোনার চিকিৎসায় কোন ওষুধ কেমন কাজ করছে, বা আদেী কাজ করছে কিনা, তা জানতে ‘সলিডারিটি’ ট্রায়াল করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আন্টিভাইরাল ড্রাগ রোডেসিভির ছাড়াও ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরােকুইন, এইচআইভি- র চিকিৎসায় ব্যবহৃত লােপিনভিরিটোনাভির এবং ইন্টারফেরন- এই চারটি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল ৩০ টি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর উপর। ২৮ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল রোগীদের। তাদের শারীরিক নানা মাপকাঠি পরীক্ষা করে এবং সেগুলি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে, রেমডেসিভির- এর কার্যকারিতা প্রায় কিছুই নেই।

হু- এর মুখ্য বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, কার্যকারিতাহীন প্রমাণিত হওয়ায় ক্লিনিক্যাল ট্রালের মাঝপথে জুনেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাইড্রক্সিক্লোরােকুইন এবং লোপানিভিররিটোনভির। কিন্তু অন্য দুটির পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩০ টি দেশের ৫ শতাধিক হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছি। গত কয়েক মাসে নতুন তৈরি হওয়া কিছু ওষুধের উপর নজর রাখছি আমরা। তবে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছে রেমডেসিভির প্রস্তুতকারী সংস্থা জিলিয়াড। সংস্থার তরফে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলা হয়েছে, যে তথ্য উঠে এসেছে, তা সঠিক নয়। বেমডেসিভিকের ফলাফল যে ভাল, নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় তার ফল মিলেছে এবং বিভিন্ন বিজ্ঞান পত্র-পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে।