• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাক সেনাপ্রধানের মার্কিন সফরের সময়েই বালোচ লিবারেশন আর্মিকে জঙ্গি তকমা ওয়াশিংটনের

পাকিস্তানি সেনা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বালোচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ বাধে। তবে গত মার্চ মাসে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের আমেরিকা সফরের সময়েই বালোচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জঙ্গি তকমা দিল ওয়াশিংটন। ‘বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি অর্থাৎ বিএলএ-কে কার্যত বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো সোমবার একটি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিএলএ-র সহযোগী ‘মজিদ ব্রিগেড’কেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

চলতি বছরে মাত্র দুই মাসের মধ্যেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরের সময়েই এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। আমেরিকা সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বালোচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ফেলেছে।

Advertisement

তবে এটাই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেই বালোচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা বিএলএ-কে ‘স্পেশ্যাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ তকমা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেড বিভিন্ন হামলায় নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। পরে ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলারও দায় স্বীকার করে নিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি সেনা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বালোচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ বাধে। তবে গত মার্চ মাসে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে। বালোচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা বিএলএ কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে ভয়াবহ হামলা চালায়। ট্রেনে তখন পাক সেনাবাহিনীর কর্মীরা সহ ৪০০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী পুরো ট্রেনটিকে কব্জা করে নেয়। পরে পাক সেনাবাহিনীর অভিযানে ট্রেনটি বালোচ বিদ্রোহী মুক্ত হয়। এই ঘটনায় ২১ জন সাধারণ মানুষ এবং চারজন সেনা নিহত হন। প্রাণ হারান ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীরাও।

Advertisement