• facebook
  • twitter
Monday, 11 August, 2025

আপিল আদালতের রায়ে বহাল ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক চাপানোর নীতি

মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের নীতি। ওই সিদ্ধান্তকে ‘ক্ষমতা-বহির্ভূত’ বলে আখ্যা দেয় তিন বিচারপতির প্যানেল।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের নীতি। ওই সিদ্ধান্তকে ‘ক্ষমতা-বহির্ভূত’ বলে আখ্যা দেয় তিন বিচারপতির প্যানেল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই নীতি আপাতত বহাল রাখার পক্ষে রায় দিল আমেরিকারই একটি আপিল আদালত। আপাতত বাণিজ্য আদালতের রায় স্থগিত থাকছে বলে জানিয়েছে আপিল আদালত। এই রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে হোয়াইট হাউস।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আদালতে ধাক্কার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেশাই বলেছেন, ‘বাণিজ্য ঘাটতি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। যা আমেরিকানদের উপর প্রভাব ফেলেছে। আমাদের কর্মীরা পিছিয়ে পড়েছেন, আমাদের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেস দুর্বল হয়েছে। এই সমস্ত ফ্যাক্টর আদালত খতিয়ে দেখেনি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কী ভাবে বিবেচিত হবে, তা অনির্বাচিত বিচারকরা ঠিক করতে পারে না।’

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আদালতের রায়ের পরেই আপিল আদালতের দ্বারস্থ হয় ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সরকারের তরফে আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই আর্জি মেনে নিয়েছে আপিল আদালত। তবে আগামী ৫ জুনের মধ্যে মামলাকারীদের এবং ৯ জুনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপিল আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে তা দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই যুক্তি সাময়িকভাবে মেনে নিয়েছে আদালত। আপিল আদালতের রায়ের পরেই ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, আরও কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির পথে হাঁটতে চলেছে তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট ব্যবহার করে ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের উপর ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর যত পরিমাণ শুল্ক চাপায়, ঠিক তত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে সংশ্লিষ্ট দেশের রপ্তানি করা পণ্যে।

বিভিন্ন দেশের উপর ১০ থেকে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতের উপরেও চাপানো হয়েছিল ২৬ শতাংশ শুল্ক। এর জেরে বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। সপ্তাহখানেক বাদে চিন ছাড়া বাকি দেশগুলোর উপর ৯০ দিনের জন্য শুল্কনীতি স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। আপাতত সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।