• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ভিয়েতনামে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় কালমেগি, ফিলিপাইনে নতুন ঝড়ের আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি

ফিলিপাইনের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। বিমান ও নৌপরিবহন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

ছবি: এএনআই

দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলে থাবা বসানো ঘূর্ণিঝড় কালমেগি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঝড়ের প্রভাবে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সেবু প্রদেশে কমপক্ষে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। আরও ৫ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলিতে কালমেগি আছড়ে পড়ার কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া এবং সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির আশঙ্কায় হানি মিন সিটি ও নিচু এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

Advertisement

এদিকে এই বিপর্যয়ের মাঝেই ফিলিপাইনের উপর নতুন ঝড় ট্রপিকাল স্টর্ম ফাং‑ওয়ং, লুসন দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। দেশজুড়ে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভিয়েতনামের কালমেগি প্রভাবিত এলাকা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন ঝড় ফিলিপাইনে আরও প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রুত সতর্কতা, জরুরি পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া।

ফিলিপাইনের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। বিমান ও নৌপরিবহন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। নিচুভূমি ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

Advertisement