• facebook
  • twitter
Wednesday, 9 July, 2025

ইজরায়েলকে ৪৩৬৫ কোটি টাকার অস্ত্র বিক্রি সহ একাধিক সামরিক সহযোগিতার আশ্বাস ট্রাম্প প্রশাসনের

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার মার্কিন অস্ত্রের সাহায্যে নতুন করে পশ্চিম এশিয়ার আরও কিছু ‘পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যে’ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইজরায়েলকে ৫১ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৩৬৫ কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রি করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক। এ বিষয়ে মার্কিন ‘প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা’ (ডিএসসিএ) এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ ইজরায়েলকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হামলা মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও জনবসতি আরও ভাল ভাবে রক্ষা করতে পারবে।’

সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত ইরানে মার্কিন হানার পরে সংঘর্ষবিরতি হলেও দুই দেশের মধ্যে হামলা ও তার পাল্টা প্রত্যাঘাতের ফলে ইজরায়েলের বোমা ও  ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাঁদের মতে, সেই ঘাটতি পূরণ করে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইজরায়েলকে প্রস্তুত রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন। সেই উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি তেল আভিভকে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার মার্কিন অস্ত্রের সাহায্যে নতুন করে পশ্চিম এশিয়ার আরও কিছু ‘পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যে’ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

কয়েকটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ওয়াশিংটনের তরফে ইজরায়েলকে দেওয়া হবে প্রায় সাত হাজার ‘বম্ব গাইডেন্স কিট’। এর সাহায্যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তুতে নিখুঁতভাবে গাইডেড বোমা হামলা চালানো সম্ভব হবে। সামরিক পরিভাষায় এই অস্ত্রের নাম ‘জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন’ (জেডিএএম)। বিএলইউ-১০৯ গাইডেড বোমার জন্য ৩৮৮৫টি কেএমইউ ৫৫৮বি/ বি জেডিএএম এবং এমকে-৮২ বোমার জন্য ৩২৮০টি কেএমইউ ৫৭২এফ/ বি জেডিএএম রয়েছে মার্কিন সামরিক সহযোগিতার তালিকায়।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গাজায় ইজরায়েলের হামলার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি যুদ্ধবিরতির বার বার ইজরায়েলকে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে প্রতিরোধ করতে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়াশিংটন। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে এখনও মার্কিন কংগ্রেসের কোনও অনুমোদন নেয়নি।