• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বললেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন

নিজস্ব গ্রাফিক্স চিত্র

কম্বোডিয়ায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকে ‘ঐতিহাসিক মোড়’ আখ্যা দিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে এই চুক্তি এক বড় পদক্ষেপ। একই সঙ্গে, চুক্তি সম্পাদনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী।

অনুতিনের বক্তব্য অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই শান্তিচুক্তি ‘আঞ্চলিক কূটনীতির এক দৃষ্টান্ত’। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি কেবল কম্বোডিয়ার জন্য নয়, সমগ্র আসিয়ান অঞ্চলের জন্যও নতুন আশার বার্তা বহন করছে। থাইল্যান্ড এই শান্তি প্রচেষ্টার প্রতিটি ধাপে সমর্থন জানাবে।’

Advertisement

থাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের সক্রিয় ভূমিকার ফলেই এই চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনুতিন বলেন, ‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁর উদ্যোগেই আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা বছরের পর বছর সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে।’

Advertisement

কূটনৈতিক মহলের মতে, কম্বোডিয়ার রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এই শান্তিচুক্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, ‘এই সাফল্য দেখিয়েছে, আলোচনা ও সহযোগিতাই সংঘাত নিরসনের একমাত্র পথ।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, শান্তিচুক্তির পর থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

Advertisement