বাংলাদেশের ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ‘বিপ্লবী ছাত্র’ দল। জেলায় জেলায় ভাঙা হচ্ছে মুজিবের মূর্তি-সহ বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। হাসিনার বাসভবনে সুধা সদনেও আগুন দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের ৬ মাস ছিল বুধবার। সেই দিনই বাংলাদেশের সর্বত্র ধ্বংসলীলা শুরু হয়েছে। যেনতেন প্রকারে বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলতে তৎপর ছাত্রদল।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ফের মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫৮ মিনিটের ভাষণে হাসিনার গর্জন, ‘ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়, বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে। দালান ভাঙলেও ইতিহাস মুছতে পারবে না।’ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফের তিনি দলের উদ্দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
এই তাণ্ডবলীলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লিগ বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা দেশবাসীকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছে। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলার সময় হাসিনা দলের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তাহলে এই বাড়ি কারা ভাঙে?’
হাসিমার কথায়, ‘ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।’
বুধবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ধানমন্ডিতে মুজিবের বাড়ির সামনে একটি ক্রেন এবং একটি এক্সকাভেটর এনে বাড়ি ভাঙা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভবনের একটি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে ফেলার কাজও শুরু হয়েছে।