• facebook
  • twitter
Wednesday, 9 July, 2025

ঢাকায় স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, দেহ ফেলা হল হাতির ঝিলে

১৬ জানুয়ারি কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় জিডি করে তার বাবা। ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন তিনি।

স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ। নারকীয় নির্যাতনের পর দেহ হাতির ঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী মা–বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। রবিবার হাতির ঝিল থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ জন যুবক মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। তারপর ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ-খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১৬ জানুয়ারি কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় জিডি করে তার বাবা। ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন তিনি। কিশোরীর মোবাইলের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দুই যুবক পুলিশি জেরায় জানায়, পাঁচ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার নিথর দেহ হাতির ঝিলে ফেলে দেয় তারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই কিশোরীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। কোনও ভাবে ওই কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে রবিন মহাখালীর একটি বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেন রবিন-সহ পাঁচজন। ধর্ষণের সময় কিশোরীটির হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল।

কিশোরী ও রবিনের ফোনের কল ডিটেলস থেকেই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে তার মোবাইলের কল ডিটেলস যোগাড় করে পুলিশ। সেখানে রবিন ও কিশোরীর কথা বলার প্রমাণ পায় পুলিশ। এরপর গাজীপুর থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে দু’জনের কেউই কিশোরীর বিষয়ে তথ্য দিচ্ছিলেন না। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীকে হত্যা করার পর দেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে দেহ হাতির ঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসে অভিযুক্তরা। দেহটি সেতু থেকে হাতির ঝিলে ফেলে দেয় রবিন। এরপর সকলেই নিজের বাড়িতে চলে যায়। মেয়েটির বাবা বলেন, যারা আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।