ইচ্ছে ছিল লস এঞ্জেলসে ছুটি কাটাবেন। কিন্তু আমেরিকার মাটিতে পা দিতে পারলেন না তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কেকে ওয়াগন। বিমানবন্দর থেকেই পত্রপাঠ ফেরত পাঠানো হল তাঁকে। অবশ্য কী কারণে ওয়াগনকে আমেরিকায় থাকতে দেওয়া হল না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন অভিবাসন দপ্তরও বিষয়টি খোলসা করেনি। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিবৃতিও দিয়েছে তারা। এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য লস এঞ্জেলসের উপদূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে পাক বিদেশ মন্ত্রক। গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছিল, পাকিস্তানের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তার মধ্যে পাক রাষ্ট্রদূতকে বিমানবন্দর থেকে ফেরানোর ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তুর্কমেনিস্তানের পাক রাষ্ট্রদূত কেকে ওয়াগন ছুটি কাটানোর জন্য লস এঞ্জেলস রওনা দেন। তাঁর কাছে বৈধ ভিসা ছিল। তা সত্ত্বেও অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা তাঁকে বিমানবন্দরে আটকান। অবিলম্বে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। মার্কিন অভিবাসন দপ্তর সূত্রে খবর, ওই পাক কূটনীতিকের ভিসার কিছু দিক বিতর্কিত এবং সন্দেহজনক। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কেকে ওয়াগনকে আমেরিকা থেকে ফেরতে পাঠানো হয়েছে। অভিবাসন দফতরের আপত্তির কারণেই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
কেকে ওয়াগন এর আগে লস এঞ্জেলেসে পাকিস্তানের কনস্যুলেট জেনারেলের ডেপুটি কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময় বেশ কিছু প্রশাসনিক দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায়। সেই কারণেই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়ে থাকতে পারে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার এবং বিদেশসচিব আমনা বালুচ-সহ শীর্ষ কূটনৈতিক নেতৃত্ব গোটা বিষয়টি শুনেছেন। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত তাদের কনস্যুলেটকে এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



