ভারতে বসবাসকারী ইহুদি ও ইজরায়েলিদের নিরাপত্তা নিয়ে জরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণ হয়।
এই প্রেক্ষিতে গতকাল কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। সন্ত্রাসবাদের বিরদ্ধে লড়াইয়ে একে পরকে সহযােগিতা করারও আশ্বাস দেন দু’জনে। পাশাপাশি দুটি দেশের করােনা পরিস্থিতি নিয়েও আলােচনা হয়েছে। এদিকে এই বিস্ফোরণে সন্দেহের তির গিয়েছে আল কায়েদার দিকে।
Advertisement
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে একটি টুইটে লেখা হয়, মােদির সঙ্গে কথা বলে ভারতে বসবাসকারী ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছেন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি করােনা ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও টিকাকরণ নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মােদিও ইজরায়েলে করােনা প্রতিষেধকের টিকাকরণ প্রত্রিয়ায় সাফল্যের জন্য নেতানিয়াহুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Advertisement
গত শুক্রবার দিল্লিতে এই বিস্ফোরণে কোনও হতাহত না হলেও তা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে দেওয়া এক বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়ে ছিলেন। ভারতে ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভারত সরকারের ওপর তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
এদিকে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণ স্থল থেকে একটি প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। তার গায়ে একটি উড়াে চিঠিতে লেখা ছিল-এটা তাে শুধু ট্রেলর। আসল সিনেমা এখনও বাকি আছে। বিশেষ করে চিঠিতে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত সােলেমানি ও পরমাণু বিশেষজ্ঞের নাম থাকায় প্রথমে মনে করা হয়েছিল, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে ইরানের যােগ থাকতে পারে।
এখন আবার জিন্দাল হাউসের বাইরে এপিজে আব্দুল কালাম রােডে ওই বিস্ফোরণ কাণ্ডে পিইটিএন ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিস্ফোরক যেহেতু মূলত আল কায়েদা ব্যবহার করে তাই তাদের উপরেও এবার সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এক ই জরায়েলি। কুটনীতিকের গাড়িতে বােমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাতে সামান্য আহত হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
Advertisement



