• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 July, 2025

চিন থেকে ইরানের দিকে উড়ে গিয়েছে একাধিক বোয়িং ৭৪৭ বিমান

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চিনের ওই বোয়িং বিমানগুলি আদতে লুক্সেমবার্গ যাচ্ছিল।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইরানের পথে চিনের বিমান। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে সেই নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনের অন্ততপক্ষে ৫টি বোয়িং ৭৪৭ বিমান বেজিং থেকে ইরানের দিকে উড়ে গিয়েছে বলে খবর। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, প্রতিটি বিমান উত্তর চিন পেরিয়ে কাজাখস্তান, তারপর উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান হয়ে ইরানের দিকে যাত্রা করেছে।

এখন প্রশ্ন হল এই বিমানগুলি ইরানেই গিয়েছে, নাকি অন্য কোথাও ? আরও খবর, ওই বিমানগুলিতে যাত্রী বা পণ্য দুইই পরিবহণ করা যায়। তবে চিন ওই বিমানে খাদ্য, অস্ত্র কিংবা অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী চিন ইরানে পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এভিয়েশন বিশ্লেষকদের মতে, এই বিমানগুলি মূলত সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে চিন কী পাঠিয়েছে ? এই রহস্যময় বিমানগুলি নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চিনের ওই বোয়িং বিমানগুলি আদতে লুক্সেমবার্গ যাচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিমানগুলিকে ইউরোপের আকাশসীমায় দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। আর সেইজন্যই রহস্য বেড়েছে।ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিমানগুলি ইরানে পাঠিয়ে তেহরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বেজিং।

তবে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি চিন কিংবা উড়ান সংস্থা। বিমানগুলি ইরানেই রয়েছে, না কি কিছু সময়ের জন্য অবতরণ করে অন্যত্র উড়ে গিয়েছে, তা-ও  স্পষ্ট নয়। যদি ওই খবর সত্যি হয়, তবে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের নিরিখে বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাশিয়া খোলাখুলিভাবে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। এবার যদি চিনও তেহেরানের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ইজরায়েল বা আমেরিকা চাপে পড়তে পারে। বিশ্বযুদ্ধের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটাও প্রবল হতে পারে।

চিন দেশটি গ্যাস এবং তেলের জন্য ইরান তথা পশ্চিম এশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আবার শুল্কযুদ্ধের জন্য বেজিংয়ের সঙ্গে আমেরিকার দূরত্ব বেড়েছে। ফলে চিনের পক্ষে তেহরানের পাশে দাঁড়ানো অস্বাভাবিক নয়।

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইজরায়েলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ইজ়রায়েলের বির শেভা শহরে মাইক্রোসফ্‌টের অফিসে আগুন ধরে যায়। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হানার আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় এয়ার সাইরেন বাজানো হচ্ছে।

পাল্টা রাতভর ইরানের রাজধানী তেহরানে আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল। নেতানিয়াহু প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরঞ্জাম তৈরির কারখানা, ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।