• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

কোটি কোটি টাকা জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’

১৮৯৪ সাল থেকে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারের পথ চলা শুরু হয়। বাজারে এই পাউডারের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। প্রত্যেকটি গৃহস্থলির নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল এই পাউডার।

কয়েকবছর ধরেই বিতর্কে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এক বাসিন্দা প্লেন্টিফ ইভান প্লটকিন অভিযোগ তোলেন, তিনি জনসন পাউডার ব্যবহার করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর তারপরই নতুন করে কাঠগড়ায় জনসন অ্যান্ড জনসন ব্র্যান্ড। সেই মামলাতেও এবার মুখ থুবড়ে পড়ল সংস্থা। আদালতের পক্ষ থেকে প্লটকিনকে ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল সংস্থাকে।

২০২১ সালে মেসোথেলিওমা রোগে আক্রান্ত হন প্লটকিন। চিকিৎসকদের দাবি, এটি একটি বিরল ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি অভিযোগ তোলেন, জনসন অ্যান্ড জনসন ব্র্যান্ডের পাউডার ব্যবহার করেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।

কানেকটিকাট সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক এবার সেই মামলায় সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তিকে ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে সংস্থাকে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানাও গুণতে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

১৮৯৪ সাল থেকে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারের পথ চলা শুরু হয়। বাজারে এই পাউডারের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। প্রত্যেকটি গৃহস্থলির নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল এই পাউডার। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয় সংস্থার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৬২ হাজার মামলা। এই নতুন জরিমানা ছাড়াও সংস্থাকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা।