• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ইরানের ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখতে পারবে না ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’

২০২২ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের ৪৩তম বর্ষপূর্তিতে ‘খাইবার শেকান’ নামক এই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইজরায়েলকে প্রত্যাঘাত করতে তৈরি হচ্ছে ইরান। তেহরান নির্দিষ্ট জায়গায় নিজেদের অত্যাধুনিক ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রকে মোতায়েন করছে। প্রতিরোধ করতে পারবে না ইজরায়েলের আয়রণ ডোম। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার শেকান’ ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নজর এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। এমনটাই দাবি করেছে তেহরান।  ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

সম্প্রতি ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছুক্ষণ আগেই ইজরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু হয়েছে। ইজরায়েলকে পাল্টা জবাব দিতে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু এই ‘খাইবার শেকান’-এর কী ক্ষমতা রয়েছে? আর ‘আয়রন ডোম’ই বা কী?

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের ৪৩তম বর্ষপূর্তিতে ‘খাইবার শেকান’ নামক এই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইজরায়েলের বিখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বা লৌহগম্বুজও নাকি এই ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের নাগাল পাবে না।  ১৪৫০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। এদিকে ইরান থেকে ইজরায়েলের দূরত্ব ১৫০০ কিলোমিটার। দুর্গের নামানুসারে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘খাইবার’। আর ‘শেকান’ শব্দের অর্থ ধ্বংসকারী। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়েই ‘খাইবার শেকান’ হামলা চালাতে সক্ষম বলে দাবি করেছে ইরান।

Advertisement

অন্যদিকে ইজরায়েলের আকাশের নিশ্ছিদ্র প্রতিরক্ষায় ‘আয়রন ডোম’ মূলত তিনটি স্তরে কাজ করে থাকে। সেগুলি হল– রেডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ‘ইন্টারস্পেটর ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুঁড়ে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করা। এ ছাড়া, তেল আভিভের কাছে রয়েছে আমেরিকায় তৈরি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ‘থাড’। যদিও পূর্বে   ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বোকা বানিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাসিম বশির ব্যবহার করে আঘাত হেনেছিল ইরান।

Advertisement