ইজরায়েলের হামলার পরেই পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসেবে জবাব দিল ইরান। ইজরায়েলের লৌহঢাল ভেদ করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তার প্রতিশোধ নেয় ইরান। যেখানে জেরুজালেম, তেল আভিভের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির উপর আক্রমণ করে ইরান। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন। ইজরায়েলি সেনার ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর পাল্টা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ চালাচ্ছে ইরানের সামরিকবাহিনী।
শুক্রবার ইরানের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল সরকার। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ বাগেরি ও প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদ। তারপরেই প্রত্যাঘাত ইরানের।
ইজরায়েলের তেল আভিভের দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ জনপদ দ্য কিরইয়া, রমাত গান এবং রিশন লেজিয়নে গিয়ে পড়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। এর মধ্যে দ্য কিরইয়া সামরিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে রয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের সদর দপ্তর। শুক্রবার রাতে এই হামলা হয়েছে সদর দপ্তরের খুব কাছেই। রমাত গান এবং রিশন লেজিয়নে গিয়ে পড়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। যার ফলে সেখানকার কিছু বহুতলের অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য এসেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, শুক্রবার রাতে প্রায় ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেন, “ইরানের যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার ধ্বংসাবশেষ উড়ে এসেই যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে।” শনিবারও হামলা চালায় ইরান। এবার নতুন করে ইজরায়েলের উত্তর অংশকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলের বহু জায়গায় বেজে ওঠে সাইরেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরানো হয় নিরাপদ জায়গায়।
ইরানের এই হামলার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল সরকার। প্রতিরক্ষমন্ত্রী ইজরায়েল কাট্জ বলেন, “ইরান না থামলে রাজধানী তেহরানকে উড়িয়ে দেওয়া হবে।” হামলা না থামালে মাশুল গুনতে হবে তেহরানবাসীকে। ইরান হামলা চালিয়ে গেলে চুপ করে থাকবে না ইজরায়েল সরকার। এর মধ্যে ইরানি সেনার ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস’ এর নতুন কমান্ডার জেনারেল আহমেদ ভাহিদি বলেছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ থাকবে এই ‘অপারেশন
ট্রু প্রমিস ৩।’