ইসলামাবাদ, ২৪ মার্চ – পাকিস্তানে দুই হিন্দু কিশোরীর অপহরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তদন্তে এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও।
হোলির দিন পাকিস্তানে সিন্ধ ঘেটকি জেলার দাহারিক তালুক থেকে দুই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে মেয়ে দুটি দাবি করে তারা স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছে। তবে তাদের এই বক্তব্য জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দুই তরুণীর ভাই।
এই ঘটনায় সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় সাদা রং সংখ্যালঘুদের প্রতীক। তাদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তানে হিন্দু সাম্প্রদায়ের নেতা মুখি শিব মেনঘোয়ার বলেছেন, স্বেচ্ছায় নয়, জোর করে ওদের ইসলাম ধর্ম নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
জোর করে দুই হিন্দু কিশোরীর বিয়ে নিয়ে সম্মুখসমরে ভারত ও পাকিস্তান। বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন দুই প্রতিবেশী দেশের দুই মন্ত্রী। অপহৃত দুই হিন্দু কিশোরীর ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
অভিযোগ সিন্ধ প্রদেশের দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্থানে ভারতের দূতের কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চান সুষমা স্বরাজ।