মধ্যরাতে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে গদি বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেন ইমরান

অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বলা হয়েছে ইমরান খানকে। কিন্তু গদি বাঁচানোর চেষ্টার খামতি রাখেননি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক।

এমনকি সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজের কুর্সি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।

এমনটাই দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের। প্রথমে অবশ্য কারও নাম না নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে বিবিসি উর্দু।


সেখানে দাবি করা হয়, ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হেলিকপ্টারে গিয়ে গোপন বৈঠকে এসেছিলেন এক শীর্ষ স্থানীয় অফিসার।

তাঁকেই শেষ মুহূর্তে পদ থেকে সরিয়ে নতুন করে প্রশাসন সাজাতে উদ্যোগী হন ইমরান। তবে তাঁর চেষ্টার পরও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।

বিবিসি র রিপোর্টে প্রকাশ, শনিবার রাতে হেলিকপ্টারে করে দুই ‘অনাহূত অতিথি’ ইমরানের বাড়িতে যান।

মিনিট ১৫ তাঁদের বৈঠক হয়। কিন্তু ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী ‘শীর্ষ আধিকারিক’কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

যদিও এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোনও নির্দেশ দেয়নি। ভোটাভুটি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন খালি করে দিয়েছিলেন।

এমনকি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যখন ভোটাভুটি চলছে সেখানেও সশরীরে হাজির থাকতে দেখা যায়নি পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। নিজে হাজির ছিলেন না ঠিকই।

কিন্তু তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ-এর মন্ত্রীরা আস্থাভোটে হাজির থেকে ইমরানের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। তবে ভোটাভুটি শুরু হতেই ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রাত ১ টা নাগাদ আস্থাভোট শুরু হয়। বিরোধী দলের সমস্ত সদস্য হাজির ছিলেন। সরকারপক্ষও হাজির ছিল।

কিন্তু রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন ‘খোদ’ ক্যাপ্টেনই। ৩৪২ আসনের অ্যাসেম্বলিতে ১৭৪ টি ভোট ইমরানের বিপক্ষে যায়।

ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন ‘ক্যাপ্টেন’। দিনভর টানটান নাটকের পর মধ্যরাতে বিরোধীদের সুইংয়ে ‘বোল্ড আউট’ হন ক্যাপ্টেন ইমরান।