ইমরান খান স্বীকার করলেন, ‘মোদির উপর চাপ পড়েনি, লাভ হয়নি দুনিয়া ঘুরে নালিশ করে’

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর কী দৌড়ঝাঁপটাইনা শুরু করেছিল ইসলামাবাদ। একে বলছে, তাকে বলছে- নরেন্দ্র মােদি আর ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ করাকে রুটিনে পরিণত করে ফেলেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু এবার নতিস্বীকার করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট বলে দিলেন, আন্তর্জাতিক দরবারে ঘুরে ঘুরে নালিশ করেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মােদির উপর কোনও চাপই তৈরি করা যায়নি।

এই মুহূর্তে ইমরান এবং মােদি দুজনেই রয়েছেন নিউ ইয়র্ক শহরে। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে ইমরানের গলা থেকে হতাশা ঝরে পড়ে। রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দরবারে অভিযােগ জানায়েও, তারা কিছুই করতে পারেনি। কোনও চাপ আসেনি মােদির উপর।’ এজন্য তিনি যে হতাশ, তাও মেনে নেন ইমরান।

রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনের মাঝেই ইমরান এবং মােদি আলাদা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। মােদির সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর ভারতের পাসে দাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প অন্য সুরে গান ধরেন। বলেন, চাইলে তিনিই মধ্যস্থতা করে কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারেন। তারপর ফের মােদি-ট্রাম্প বৈঠক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মােদি রকস্টার, মােদি ভারতের পিতা।’


অনেকে মনে করছেন, মােদি সম্পর্কে ট্রাম্পের শেষ মন্তব্য ইরমানের হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর দৌত্য শুরু করেছিল ইমরান প্রশাসন। দরজায় দরজায় ঘুরে বলেছিল, দেখাে আমাদের সঙ্গে কথা বলে ভারত একতরফা সব করে নিল। নয়াদিল্লির অবস্থান তখন থেকেই ছিল দৃঢ়। স্পষ্ট বলে দিয়েছিল, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে পাকিস্তানের নাক গলানাের অবকাশ নেই।

দেড় মাস ধরে কম চেষ্টা করেনি পাকিস্তান। কিন্তু পাশে পায়নি কাউকে। উল্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য দেশের অনেকে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, না পেরে শেষমেশ ইমরান মেনে নিতে বাধ্য হলেন, মােদির উপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির সমস্ত কৌশল জলে গিয়েছে।