• facebook
  • twitter
Tuesday, 9 December, 2025

ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ফের ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ আইএমএফের

আইএমএফ দাবি করেছে যে, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারকে আরও মজবুত করতে এবং মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশে পাকিস্তানকে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল বা আইএমএফ আবার সন্ত্রাসবাদের মূল ঘাঁটি পাকিস্তানকে নতুন করে ১.২ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ঋণ দিতে চলেছে। পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত তীব্র আপত্তি জানায়। আইএমএফ দাবি করেছে যে, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারকে আরও মজবুত করতে এবং মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশে পাকিস্তানকে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই যদিও আশঙ্কা করছেন যে, অতীতের মত এই অর্থের বেশিরভাগটাই পাকিস্তান কাজে লাগাবে সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগাতে।

আইএমএফ সোমবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে,  নতুন কিস্তিতে পাকিস্তানকে আরও ১.২  বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেওয়া হবে। এই অর্থ পাকিস্তান দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে।দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে এবং অর্থনৈতিক সংশোধনের ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে এই টাকা। পাকিস্তানকে এই নিয়ে তৃতীয় কিস্তির টাকা দিতে চলেছে আইএমএফ। এখনও পর্যন্ত  সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের শীর্ষ আধিকারিক  নাইজেল ক্লার্ক এই বিষয়ে বলেছেন সম্প্রতি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগেরকবলেপড়েও   পাকিস্তান, দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা জারি রাখতে সফল হয়েছে। এই কারণেই তৃতীয় কিস্তির অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে পাকিস্তানকে।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি দেখা গিয়েছে। গত কয়েক  বছর আইএমএফের ঋণের অর্থের উপর নির্ভর করে টিকে রয়েছে এই দেশ। সেই ধারা বজায় রেখে আবার আইএমএফের কাছে ঋণ চায় শাহবাজ শরিফের সরকার। তবে ভারতের তরফ থেকে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে এই ঋণ না দেওয়ার  পক্ষে স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয়। অভিযোগ করা হয়, অতীতেও অনেকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান এবং সেই অর্থ সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি তারা। ঋণ গ্রহণের পর যে শর্তগুলি মেনে চলা দরকার অতীতে পাকিস্তান সেই নিয়মও লঙ্ঘন করেছে। ভারত আপত্তি করলেও পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সেই কারণেই  পাকিস্তানের এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে।

Advertisement

Advertisement