একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ২৭ হাজার অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কী পরিমাণ অস্ত্র দেশে রয়েছে এবং সেগুলাে বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে ছ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মােহাম্মদ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলাে বিত্রির সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব এবং বাণিজ্য সচিবকে এ রিটে বিবাদী করা হয়। রিটে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা অস্ত্র বিক্রি আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘােষণা করা হবে না, জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে ওইসব অস্ত্র সংরক্ষণে ঝর্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ওইসব অস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনও সংগঠনের কাছে হস্তান্তরের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানাে হয়েছে। এছাড়াও রুল বিবেচনাধীন থাকায় অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়।


গত ৫ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার ‘ শিরােনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম শের্টের আইনজীবী জেড আই খান (পা) ও মানবধির সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন আগ্নেয়াস্ত্রগুলাে সরকার বেচে দিতে চায়। সরকাৱে যুক্তি হচ্ছে, এগুলে পুরনাে, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফলে রাখার কোনও দরকার নেই। প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলো কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক কোম্পানি। এদিকে পুরনাের পাশাপাশি নতুন অস্ত্র ও গোলাবারুন রফতানিরও উদ্যোগ রয়েছে সরকারের।