• facebook
  • twitter
Sunday, 3 August, 2025

যুদ্ধ থামাতে ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসতে চায় জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্স

বর্তমানে বিদেশ সফরে ওমানে রয়েছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। তিনি পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে ইরান ও ইজরায়েলের এই যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ইউরোপীয় দেশগুলি। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসতে চায় জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। ইরান যাতে ইজরায়েল, পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপের জন্য কোনও বিপদ ডেকে না আনে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। জার্মানির বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল এমনই জানিয়েছেন। তবে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু যে মূলত ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড, সে বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছে এই ইউরোপীয় দেশগুলি।

প্রসঙ্গত, ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে গত শুক্রবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েলি বাহিনী। ইরান তার প্রত্যাঘাত করে। ইরানের সন্দেহ, আমেরিকা ইজরায়েলকে সমর্থন করছে। সেই সন্দেহের থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা। ইজরায়েলকে সাহায্য করে পশ্চিম এশিয়ায় থাকা আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিতেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে। ইরান আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে আমেরিকা রাজি না হলে পরমাণু চুক্তি করা হবে না। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছিলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি স্থগিত রাখা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। ইরান কখনও সেই পথে হাঁটবে না।’

বর্তমানে বিদেশ সফরে ওমানে রয়েছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। তিনি পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে ইরান ও ইজরায়েলের এই যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করছে জার্মানি। জার্মানির সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘এআরডি’কে এই তথ্য দিয়েছেন জোহান। তিনি বলেন, ইরান আগেও গঠনমূলক আলোচনায় বসার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তেহরান সেই সুযোগ কাজে লাগায়নি। তবে তিনি মনে করেন এখনও আলোচনায় বসার সময় রয়েছে। জোহান ওয়েডফুল বলেন, ‘জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন তৈরি আছে। আমরা চাই ইরান দ্রুত পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গে আলোচনায় বসুক। আশা করি তারা এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে।’

জোহান আরও বলেন, ‘ইরান ও ইজ়রায়েলের উপর সকল পক্ষের প্রভাব বিস্তার করতে হবে। একমাত্র তা হলেই এই সংঘর্ষ বন্ধ হবে।’ যদিও ইরান জানিয়েছে, বাধ্য করা না হলে ইজ রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষকে পশ্চিম এশিয়ার অন্য দেশে ছড়াতে চায় না তারা।