পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কূটনীতিক, সেনা আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার নিজেই এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ‘ওটা একটা ভয়ঙ্কর জায়গা হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা আমরা দেখব। আপাতত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ইরাক, কুয়েত, বাহারিন, আরব আমিরশাহীর মতো জ্বালানি তেল সমৃদ্ধ দেশগুলিতে বিভিন্ন কারণে বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর অন্যতম কারণ, দূতাবাস-সহ এই দেশগুলিতে কাজ করা মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তা। ট্রাম্পের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এবার এই কর্মীদেরই একাংশকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য জায়গা থেকে কর্মীদের সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর বেশি আর কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল। এর প্রভাব পড়তে পারে গোটা পশ্চিম এশিয়াতেই। ওয়াকিবহল মহলের দাবি, সেই ঘটনায় দায় এড়াতেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইউরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের কারণে গত কয়েক বছর ধরে অশান্ত রয়েছে পশ্চিম এশিয়া। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প আবার নাম না করে নিশানা করেছেন ইরানকে। ট্রাম্প বলেন, ‘ওদের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে না। খুব সহজ বিষয় এটি। আমরা এটা হতে দেব না।’
এদিকে বুধবার আমেরিকার উপর চাপ বাড়িয়েছে ইরানও। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে বলেন, ‘পরমাণু চুক্তি নিয়ে ষষ্ঠ দফার আলোচনা ব্যর্থ হলে এবং সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ইরান আঞ্চলিক (পশ্চিম এশিয়ার) মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে। এই অঞ্চলের সমস্ত মার্কিন সেনাঘাঁটি কিন্তু আমাদের নাগালে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ওমানের মধ্যস্থতায় গত মাসে আমেরিকা এবং ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে পঞ্চম দফার বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকে ইউরেনিয়াম মজুত পুরোপুরি বন্ধ করার শর্ত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে তেহরানকে বলা হয়, মজুত করা সমস্ত ইউরেনিয়াম অন্য কোনও দেশে জমা রাখতে হবে।