জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকারকে অস্বীকার করলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে জানিয়ে ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সিয়াটল আদালত। এবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়ে স্থগিতাদেশ দিল মেরিল্যান্ডের এক আদালতও। মেরিল্যান্ড আদালতে বিচারক জন কফেনোর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে আপাতত ১৪ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিচারক এই নির্দেশকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও আদালতের এই রায়কে মেনে নিতে রাজি নন ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করার পরিকল্পনা করছি।
মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা হয়েছিল আমেরিকার মাটিতে জন্মালেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সরাসরি এই সংশোধনীর বিরোধিতা করছেন ট্রাম্প, এমনটাই জানিয়েছিলেন সিয়াটল আদালতের বিচারক। এবার মেরিল্যান্ডের আদালতও সেই পথেই হাঁটল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ অভিবাসী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়। কিন্তু ট্রাম্প সাফ জানিয়েছেন, নথিবিহীন অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, কর্মসূত্রে অভিবাসী যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে আমেরিকার মাটিতে, তাঁরাও আর পুরনো আইনের সুবিধায় মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না। এছাড়া বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের গ্রিনকার্ড না থাকলে, সন্তান পাবে না জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ। শয়ে শয়ে অভিবাসী সামরিক বিমানে আমেরিকার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ফেরানো শুরু হয়েছে ভারতীয় অভিবাসীদেরও।
বুধবারই ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠায় আমেরিকা। পাঞ্জাবের অমৃতসরে ১০৪ জন অভিবাসীদের নিয়ে পৌঁছয় ওই বিমান। যদিও রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি।
ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে।