• facebook
  • twitter
Tuesday, 19 August, 2025

ট্রাম্প তেহরান খালি করার কথা বলতেই তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে উদ্বেগ!

ইরানের হাতে রয়েছে বিশ্বের খনিজ তেলের ভাণ্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ। বর্তমানে ইরান বিশ্বে তৈল রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে।

গত সপ্তাহে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ইজরায়েলি হামলার পরেই ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল ও ইরানের সংঘর্ষের জেরে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যুদ্ধের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমেরিকার বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৭ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার ফলে ব্যারেল পিছু তেলের বর্ধিত দাম দাঁড়িয়েছিল ৭২.৬৪ ডলার। ভারতীয় টাকায় এই দাম দাঁড়ায় ৬,২৬৮ টাকা। কিন্তু ট্রাম্পের এক ঘোষণায় এই দাম আবারও বৃদ্ধি পেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে তেহরান থেকে সকলকে সরে যেতে বলায় নতুন করে সেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত ইরানের হাতে রয়েছে বিশ্বের খনিজ তেলের ভাণ্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ। বর্তমানে ইরান বিশ্বে তৈল রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। এই মুহূর্তে ইরান দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রতি এক ডলার মানে ১০০ সেন্ট, আর বেঞ্চমার্ক হল একটি নির্দিষ্ট অপরিশোধিত তেল, যা বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একই ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম নির্ধারণের অপর মানদণ্ড ব্রেন্টও ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটির ব্যারেলপিছু দাম বেড়েছে ৭৪.১০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৬৩৮৯ টাকা।

গত শুক্রবার থেকে ইরান ও ইজরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে দুই দেশেরই যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই হামলা এখনও অব্যাহত। এই যুদ্ধের জেরে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। এ বিষয়ে নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ইরানের ২২৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ১২৫৭জন। আবার ইজরায়েলেও মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।

ভারত বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল অন্য দেশ থেকে আমদানি করে। এই বিপুল পরিমাণ তেলের মধ্যে রাশিয়া থেকে কেনা হয় প্রায় ৩৮ শতাংশ তেল। এ ছাড়া ভারত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলি থেকে প্রায় ২৩ শতাংশ তেল কেনে। যদিও রাশিয়া থেকে তেল কেনা শুরুর পরে ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির উপর নির্ভরশীলতা অনেকটা কমেছে।

News Hub