চিনের তিন সন্তান নীতি আইনত স্বীকৃতি পেল 

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সােমবার। এতদিন নিয়ম ছিল, চিনে দম্পতিরা দুই-এর বেশি সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না। এবার এ ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরাের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রকারিভাবে বৈধ। জন্মহার কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করা হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে। 

কিন্তু আচমকা এই সিদ্ধান্ত কেন নিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার? এ বিষয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নিয়ে প্রায় ২৩ বছর আগে ১৯৮৮ সালে দলের মধ্যে প্রথম আলােচনা শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ২৬ মার্চ চিনা কমিউনিস্ট পার্টি তিনদিনের বিশেষ অধিবেশন হয়।

সেই বিশেষ অধিবেশনে আলােচ্য বিষয় ছিল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া। যদিও তখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দল। তবে আলােচনায় বলা হয়েছিল, এই বিষয়ে ১০ বছর পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই সঙ্গে করে দেওয়া হয়েছিল ১৩ সদস্যের এক কমিশন। এরপর কমিশন রিপাের্ট দেয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেভাবে কমছে, তা ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পথে হাঁটতে হবে সরকারকে।


তবে দুম করে সংস্কার করলে চলবে না। ধাপে ধাপে এগােতে হবে। তা হলে নষ্ট হবে ভারসাম্য। এক সন্তান নীতির ফলে ক্রমশ যে পরিস্থিতির দিকে চিন এগােচ্ছিল, তাতে শ্রম শক্তির ক্ষেত্রে ভারসাম্যের অভাব ঘটবে, এমনটাই বলা হচ্ছিল। এর প্রভাব পড়বে চিনের অর্থনীতিতে। শিল্প ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

এরপর সপ্তদশ পার্টি কংগ্রেসের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে নীতি গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় চিনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হু জিন তাউ। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এক সন্তান নীতি থেকে দুই সন্তান জন্ম দেওয়াকে স্বীকৃতি দেয় চিন সরকার। ২০২১ সালে এসে ফের সংস্কারের পথে হাঁটল চিন।

এবার স্বীকৃতি দেওয়া হল তিন সন্তানের জন্ম। ২০০৭ সালে যে নীতি ঠিক হয়েছিল, তা কার্যকর হল এতদিন পর। এর ফলে আন্তর্জাতিক শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি করে আধিপত্য দেখাবে চিন ২০৩০ সালের পর। কারণ তখন জন্মহার এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে।