• facebook
  • twitter
Wednesday, 14 May, 2025

৪ মাসে ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা, বন্ধুত্ব দৃঢ় করার বার্তা চিনের

মার্কিন-চিন শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারতের কাছে আসতে চাইছে চিন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন অনেকটাই ভাল বলা চলে।

মার্কিন-চিন শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারতের কাছে আসতে চাইছে চিন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন অনেকটাই ভাল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা স্তিমিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতকে একাধিকবার বন্ধুত্ব দৃঢ় করার বার্তা দিয়েছে চিন। আমেরিকার বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধে ভারতকে পাশে চাইছে চিন। দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিঙের প্রশাসন।চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং আরও বেশি সংখ্যায় ভারতীয়কে চিন সফরে যেতে এবং সেদেশের ‘উন্মুক্ত, নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ’ উপভোগ করার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।

ভারতীয়দের মধ্যে চিনের ভিসা মঞ্জুর করার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসেই ৮৫ হাজারেরও বেশি ভারতীয়র ভিসা মঞ্জুর হয়েছে। পাশাপাশি গত বছর ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে চিনা দূতাবাস বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করেছে। এখন ভিসার আবেদন করার সময় অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার প্রয়োজন হবে না ভারতীয়দের। তাঁরা সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও ১৮০ দিনের কম সময়ের জন্য চিনে ভ্রমণ করতে গেলে আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক তথ্যও প্রদান করতে হয় না। দ্রুত ভিসা মঞ্জুর করার বিষয়টিতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি ভিসা আবেদনের ফি-ও কমানো হয়েছে। যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরফল হিসেবে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। ধসে যায় বিশ্বব্যাপী শেরারবাজারও। তারপরই ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন। কিন্তু সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে চিনকে।  পাল্টা চিনা পণ্যের উপর শুল্কের হার ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন। সেই আবহে ভারতকে পাশে চায় চিন। ফলে চিন এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। এর আগেও চিনের তরফে একাধিকবার ভারতের উদ্দেশে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে।  ক্ষমতার রাজনীতি এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসতে হবে চিন এবং ভারতকে, এমনটাই বার্তা চিনের।

ভারত এবং চিন-এই দ্বৈত শক্তির কথা বলতে গিয়ে ‘হাতি’ এবং ‘ড্রাগন’-এর উপমা ব্যবহার করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁর কথায়, ‘ড্রাগন এবং হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না-বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। এতে দুই দেশেরই লাভ। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই তা লাভজনক।’ এর বাইরেও ভারত এবং চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সেই সম্পর্কেও ভিসা-তথ্য দিয়েছে চিন।