চিনে বাদুড়ের দেহে মিলল নতুন করোনা ভাইরাস। উহান ইনস্টিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা এই ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন। গবেষণায় উঠে এসেছে, বাদুড়ের দেহে পাওয়া এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ এদের সেল-সারফেস প্রোটিনের গঠন অবিকল সার্স-কোভ-২-এর মতোই। ‘সেল’ নামের এক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র।
‘ব্যাট উওম্যান’ নামে পরিচিত ভাইরোলজিস্ট শি ঝেংলির নেতৃত্বে এক গবেষক দল ওই গবেষণা চালিয়েছে। বিজ্ঞানী শি’র উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরলজি, গুয়াংঝাউ ল্যাবরেটরি, গুয়াংঝাউ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এই গবেষণা করেছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, উহান ইনস্টিউট অব ভাইরোলজি বাদুড়ের দেহে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চিন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মারণ কোভিড-১৯ ভাইরাস, যার কবলে পড়ে গোটা বিশ্বে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ওই বছর করোনার প্রথম কেসটি দেখা যায় চিনের উহানে। তারপর থেকে তা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, কোভিড-১৯ মহামারির শুরু দিকে এই ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বারবারই এই বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে চিন। এই বিষয়ে শির বক্তব্য ছিল, করোনা ভাইরাসের প্রাকৃতিক নিয়মেই উদ্ভব হয়েছিল। ২০২৩ সালে আমেরিকা উহানের ল্যাবটির জন্য সহায়তা স্থগিত করে দেয়।
Advertisement
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে। পুরনো করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটির বেশ মিল রয়েছে। অবশ্য, এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, সারা পৃথিবীতে অসংখ্য করোনা ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে খুব সামান্যই মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই সম্ভাবনা প্রবল। কেননা পুরো করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এর গঠনের আশ্চর্য মিল রয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন, সার্স-কোভ-২-এর মতো এই ভাইরাস দ্রুত মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে না। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, সারা পৃথিবীতে অসংখ্য করোনা ভাইরাস রয়েছে। যাদের মধ্যে সামান্যই মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে।
Advertisement



