বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় সংবাদ চ্যানেলের হেড মুন্নিকে চাকরি থেকে তাড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ঘিরে দেশের সংবাদমাধ্যম মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাপ, হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ সামনে আসায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কয়েকটি সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর থেকেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের একাংশ ও বাইরের প্রভাবশালী মহল থেকে মুন্নির উপর চাপ বাড়তে থাকে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট কিছু খবর না দেখানো এবং সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য তাঁকে বারবার বলা হচ্ছিল। সেই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করায় তাঁকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
Advertisement
ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, মুন্নি পেশাগত নীতি ও সাংবাদিকতার স্বচ্ছতা বজায় রাখার পক্ষেই ছিলেন। কিন্তু সেই কারণেই তাঁর উপর অসন্তোষ বাড়ে। তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত চ্যানেল কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
Advertisement
বাংলাদেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলির একাংশ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, সংবাদমাধ্যমে কর্মরত কোনও সাংবাদিক বা দায়িত্বশীল আধিকারিককে এ ভাবে ভয় দেখানো গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। সংগঠনগুলির দাবি, অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার এবং মুন্নির নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
মিডিয়া বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিফলন। রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে থেকেও সংবাদ পরিবেশনের কাজ কতটা স্বাধীনভাবে করা যেতে পারে, সেই প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে। তাঁদের বক্তব্য, সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হলে সাধারণ মানুষের জানার অধিকারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের অন্দরে ও বাইরে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, মুন্নির বিরুদ্ধে নেওয়া যে কোনও পদক্ষেপ শুধু একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধেই আঘাত হিসেবে দেখা হবে। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি।
Advertisement



