তালিবান পরিচালিত সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মােল্লা আব্দুল গানি বারাদরের পাকিস্তানি নাগরিকের পরিচয় পত্র ও পাকিস্তানি পাসপাের্ট প্রকাশ্যে এসেছে। পাসপাের্টে ও পরিচয় পত্রে বারাদরের ছবি এক থাকলেও ভুয়াে নাম লেখা রয়েছে। কাবুলে সুন্নি পাস্তুন বাহিনীর নেপথ্যে প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে পাকিস্তানের আইএসআই যে রয়েছে এই ঘটনাই তার যথেষ্ট প্রমাণ এসেছে।
তালিবানদের নেপথ্যে পাক সমর্থনের দাবি নতুন নয়, দীর্ঘ সময় ধরে আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালানাের জন্য তালিবানদের আর্থিক ও সামরিক ইন্ট্যালিজেন্স, অস্ত্র ও অস্ত্র সরঞ্জাম দিয়ে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের দিকে অভিযােগের আঙুল উঠেছে।
Advertisement
আর পাকিস্তান প্রত্যাশিতভাবে তালিবান-মদতের প্রসঙ্গটিকে ভিত্তিহীন দাবি বলে খারিজ করে দিয়ে পাকিস্তানের তরফে বারাদরকে ১০, জুলাই, ২০১৪ একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করেছিল। যেখানে বারাদরকে সৈয়দ এম নাজির আঘার ছেলে মহম্মদ আরিফ আগা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। এই কার্ডটির নম্বর ৪২২০১-৫২৯২৪৬০-৫।
Advertisement
ওই কার্ডে বারাদরের জন্ম সাল ১৯৬৩ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই লাইফটাইম পরিচয় পত্রে রেজিস্ট্রারার জেনারেল অফ পাকিস্তানের স্বাক্ষর রয়েছে। বারাদরের পাকিস্তানের দেওয়া পাসপাের্টের নম্বর GF৬৮০১২১।
বারাদরের পাসপাের্ট ও লাইফটাইম পরিচয় পত্র একই দিনে ইস্যু করা হয়েছিল। তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মােল্লা বারাদর পাকিস্তানের কোয়েত্তা প্রদেশ প্রায়ই যান। সেখানে তিনি থাকেন। দোহায় তালিবানদের রাজনীতি বিষয়ক অফিসে সমঝােতাকারী টিমের নেতৃত্বে শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে মহম্মদ আরিফ আগহা নামে মােল্লা বারার ছিলেন।
বারাদরের পাক পাসপাের্টের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বেশ কিছু তালিবান নেতা যে পাক পাসপাের্ট ও পরিচয় পত্র ব্যবহার করে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, তালিবান প্রধান হাবিতুল্লা আখুজাদা পাক নাগরিক কিনা। তিনি এখন কাবুলে থাকলেও প্রায়ই করাচির পাক ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আখুজাদা যান। সেখানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন।
Advertisement



