বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারারা অবস্থান বিক্ষোভে শামিল। বুধবার দুই শিক্ষক নেতাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রথম দু’দিন বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা এড়ালেও বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ স্টেশনে যান ২ শিক্ষক। সঙ্গে ছিলেন আরও অনেকে।
২ শিক্ষককের সমর্থনে থানার বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন চাকরিহারা অন্য সহযোদ্ধারা। তাঁদের একজন বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটেছে তা আমাদের যৌথ সিদ্ধান্ত। কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির সিদ্ধান্তে কিছু ঘটেনি। তাই আমরাও ওদের সঙ্গে থানায় এসেছি। যদিও চাকরিহারাদের দাবি, যখন চাকরি চুরি হচ্ছিল তখন পুলিশের এই ‘তৎপরতা’ চোখে পড়েনি।
চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের ডাকে গত গত ১৫ মে ‘বিকাশ ভবন ঘেরাও’–এ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। গেট ভেঙে কার্যত ওই সরকারি ভবনের দখল নেন চাকরিহারারা। বিকাশ ভবনে রাত পর্যন্ত আটকে পড়েন সরকারি কর্মী, অফিসাররা। চাকরিহারাদের বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনায় ৫ জন শিক্ষককে হাজিরার নোটিশ পাঠায় বিধাননগর পুলিশ। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, পুলিশি তলবে হাজিরা দিতেই হবে শিক্ষকদের। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
পাশাপাশি বুধবারই আদালত মৌখিক ভাবে জানিয়েছে বিকাশ ভবনের সামনের জমায়েতে লোকসংখ্যা কমাতে হবে। আদালত মনে করছে, এর জেরে বিকাশ ভবনের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। দৈনন্দিন কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে। কোর্টের নির্দেশ, এটা করা যাবে না। বিকল্প স্থানে বড় জমায়েতের কথা জানিয়েছে আদালত।