আইএসএল ফুটবল আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও পরিষ্কার ছবি নেই। তাই ক্লাবগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে সারা ভারত ফুটবল সংস্থা। জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে ১২টি ক্লাব ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল, নতুন টেন্ডারে যথাযথ বাণিজ্যিক অংশীদার না হলে ফেডারেশনের ভূমিকা কী হবে এবং একটি কাঠামো বিবেচনা আনা। প্রয়োজনে ক্লাবগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানা নিয়ে লিগ পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে ফেডারেশন ও সম্ভাব্য প্রচার মাধ্যমও সেই কনসোর্টিয়ামে যুক্ত থাকবে।
তবে ফেডারেশন জানিয়েছে, ক্লাবগুলি থেকে আসা ১২ দফা প্রস্তাবের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে নেওয়া কঠিন। এই কারণে প্রস্তাবগুলি কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটাই দেখার। ক্লাবগুলির মধ্যে রয়েছে এফসি গোয়া, স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লি, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড, জামশেদপুর এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, পাঞ্জাব এফসি, ওড়িশা এফসি ও মহামেডান স্পোর্টিং। তবে এই জোটে ইস্টবেঙ্গল নেই। সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা সংবিধান ও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এদিকে সমাধান সূত্র বের করার জন্য ক্লাবগুলি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে আগামী সোমবার। ফেডারেশন বার বার এই বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
সেই কারণে ক্লাবগুলি চাইছে আইএসএল ফুটবলের দরজা খুলুক। কীভাবে তা সম্ভব হবে, তার একটা পথ দেখাক শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যে ক্লাবগুলি জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা যৌথভাবে এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে রাজি। তবে ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই বিষয়গুলি খুব যে গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাহলে ক্লাবগুলো যৌথভাবে এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা না করলে ফেডারেশনের কোনও দায়িত্ব এবং কাজও থাকবে না। আবার প্রশ্ন, ক্লাবগুলো এতো অল্প সময়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হবে কি? কিছুদিন বাদে বড়দিনের ছুটি পড়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ছোট আকারে লিগ পরিচালনার পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাহলে কি ক্লাবগুলির কাছে শীর্ষ আদালত কোনও পথ দেখাতে পারবে প্রতিযোগিতা সংগঠিত করার ক্ষেত্রে।
Advertisement
Advertisement



