বয়স যেন একটা সংখ্যামাত্র, এই প্রবাদ বাক্যটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্যই প্রযোজ্য। বুধবার রাতে মিউনিখের আল্যায়েঞ্জ এরিনা’য় রোনাল্ডোর গোলেই ২-১ ব্যবধানে ২৫ বছর পর জার্মানিকে হারিয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেল। প্রথমবার ২০১৯ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে ট্রফিও জিতেছিল রোনাল্ডোর দেশ।
যদিও, ঘরের মাঠে প্রথমার্ধ জুড়ে দাপট ছিল জার্মানির। একাধিকবার পর্তুগালের গোলমুখে পৌঁছে যান জোশুয়া কিমিচ – গোরেৎজকারা। তবে, সেই মুহূর্তে পর্তুগালের ত্রাতা হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক দিয়োগো কোস্তা। খেলা শুরুর মিনিট চারেক পর থেকেই দলের হয়ে বেশকিছু নিশ্চিন্ত পতন রোধ করেন তিনি। নাহলে, প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দল। এরপর, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজের হেডে করা দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় তারা। জোশুয়া কিমিচের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তবে, গোল হজম করে খেলার চেহারাই যায় রোনাল্ডোদের। প্রতিপক্ষ বক্সে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুলতে থাকে তারা। যার ফলস্বরূপ ম্যাচের ৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে ২৫ বছর আগে শেষ যে জার্মানিকে হারিয়েছিল পর্তুগাল সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তার বাবা সার্জিও কনসেইকাও। এর মিনিট পাঁচেক পর পর্তুগালের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বাঁদিক থেকে বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে সেটি জালে জড়ান তিনি। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল জার্মানি। তবে, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। অন্যদিকে, গোল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পর্তুগাল। ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোলের ব্যবধানে।
এই ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানোর পাশাপাশি বেশকিছু রেকর্ডও গড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ক্লাব ফুটবল ও দেশের জার্সি মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মোট ৯৩৭ গোল হল তার, যা নিঃসন্দেহে দারুণ একটি রেকর্ড। পাশাপাশি, জার্মানির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে গোল করার এই রেকর্ডও বর্তমানে তার দখলে। আগামী রবিবার ফাইনালে স্পেন বনাম ফ্রান্স ম্যাচের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে তারা।