• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

মিচেল স্টার্ককে নিয়ে বড় চিন্তায় কেকেআর শিবির

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রায় ২৫ কোটির মিচেল স্টার্ককে নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা কলকাতা নাইটরাইডার্সের মালিকপক্ষের৷ গত রবিবার ইডেন উদ্যানে কেকেআর শেষ মুহূর্তে ১ রানে জয়লাভ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে৷ তবে, এই ম্যাচটা কেকেআরের হাতের বাইরে ছিল৷ কেকেআরের হয়ে শেষ ওভারে বল করতে মিচেল স্টার্ক৷ ৬ বলে ১৯ রান করতে হবে এই অবস্থায় মিচেল স্টার্কের

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রায় ২৫ কোটির মিচেল স্টার্ককে নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা কলকাতা নাইটরাইডার্সের মালিকপক্ষের৷ গত রবিবার ইডেন উদ্যানে কেকেআর শেষ মুহূর্তে ১ রানে জয়লাভ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে৷ তবে, এই ম্যাচটা কেকেআরের হাতের বাইরে ছিল৷ কেকেআরের হয়ে শেষ ওভারে বল করতে মিচেল স্টার্ক৷ ৬ বলে ১৯ রান করতে হবে এই অবস্থায় মিচেল স্টার্কের বল দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন৷ বিশেষ করে বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন৷ একটা সময় এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল শেষ দুই বলে ৩ রান করলেই ম্যাচ জিতে যাবে বেঙ্গালুরু দল৷ সেই অবস্থায় পঞ্চম বলে ব্যাট করছিলেন লাকি ফার্গুসন৷ স্টার্কের বলটি ব্যাটে ছুঁয়ে ফার্গুসন দৌড় শুরু করেন৷ একটি রান করার পরেই দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটতে শুরু করেন৷ কিন্ত্ত তার আগেই উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক সল্ট৷ এটা অনেকটা পড়ে পাওয়া ষোলো আনার মতো৷ যদি ফার্গুসন দৌড়তে শুরু না করতেন, তাহলে শেষ বলে অন্য প্রান্তে থাকা খেলোয়াড় হয়তো একটি রান বা দু’টি রান নিতে পারতেন৷ তখন খেলার ফলাফল বদলে যেত৷ এক রান হলে টাই হয়ে যেত ম্যাচটা৷ আর দু’রান পেলে বেঙ্গালুরু জয়লাভ করত কেকেআরের বিরুদ্ধে৷ এমন একটা পরিস্থিতিতে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন৷

এদিকে মিচেল স্টার্ক এখনও পর্যন্ত আইপিএল ক্রিকেটে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন৷ ২৫ ওভার বল করে তিনি ২৮৭ রান দিয়েছেন৷ পেয়েছেন ৬টি উইকেট৷ আইপিএল ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে সবাই সমালোচনায় মুখর৷ নিলামে তাঁকে কেনা হয়েছিল ২৪.৭৫ কোটি টাকায়৷ তাঁর এই ব্যর্থতার কারণে বার বার কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে৷ তবে এখনই কেকেআর কর্তৃপক্ষ তাঁর পাশে থাকলেও সন্ত্তষ্ট নন৷ সোমবার এক অনুষ্ঠানে স্টার্কের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই কথা বলেছন দলের সিইও বেঙ্কি মাইসোর৷ তিনি বলেছেন, শুধু টাকা দিয়ে মিচেল স্টার্কের প্রতিভার বিচার করা যায় না৷ এট মনে রাখতে হবে, তিনি তারকা ক্রিকেটার৷ তাঁর পিছনে কত টাকার অঙ্ক বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেটা কখনওই বড় কথা নয়৷ অনেক সময় নিলামে অনেক রকম ঘটনা ঘটে থাকে৷ তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও যায়৷ এটা মনে রাখতে হবে, মিচেল স্টার্কের মতো বোলার যে দলে থাকে, সেই দলের একটা প্লাস পয়েন্ট, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ আবার এটাও বলতে হবে, দলে তাঁর উপস্থিতি বৈচিত্র্য আনে৷ তাঁর মতো দক্ষতার এমন বোলার যা চাইবেন, সেটাই করা উচিত৷ আবার এটাও মনে রাখতে হবে, ধামাচাপা দিয়ে নতুন কিছু বলার থাকে না৷ খেলায় উত্থান-পতন থাকেই৷ অনেক বোলারকেই ৬ হজম করতে হয়৷ অনেক সময় তাঁরাই দলকে জিতিয়ে দেন৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রবিবার কলকাতার খেলায়৷