একটা,দুটো নয়। তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করলেন নদিয়ার কল্যাণীর দিয়া শিকদার। নেপালে আয়োজিত ইন্টারন্যাশানাল ক্যারাটে ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের দিয়া আজ ভারতের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বাড়ি ফিরে দিয়া শিকদার বলেন, ২ বছর ধরে ক্যারাটে শিখছি। বাড়ির পাশে বটতলা মাঠে রেনবো সতুকান ক্যারাটে অ্যাকাডেমিতে শিক্ষক সুভাষ সরকারের কাছে হাতেখড়ি। চতুর্থ শ্রেণী থেকেই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত । এখন কাঁচরাপাড়া কলেজে হিন্দি অনার্স নিয়ে পড়ছি।
তিনি আরো বলেন, বাবা বিএসএফে চাকরি করেন। বাড়িতে থাকেন না। মায়ের কঠোর পরিশ্রম আর বিবাহিতা দিদি ত্রয়ী দে’র প্রেরণা আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। কঠোর পরিশ্রম রয়েছে ক্যারাটে স্যারেরও।
কল্যাণীর লাল কোয়ার্টার এলাকায় থাকেন দিয়া শিকদার। দুই বোন। ছোট দিয়া। বাবা দেবাশীষ শিকদার বিএসএফে কর্মরত। মা রিনা শিকদার গৃহবধূ। পদক জিতে নেপাল থেকে শনিবার বাড়ি ফেরেন পদকজয়ী।
চলতি মাসের ৭ ও ৮ তারিখ নেপালে আয়োজিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশানাল ক্যারাটে ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ। অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ,ভারত,জাপান,
নেপাল, পাকিস্তান সহ অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা। ক্যারাটের তিনটি বিভাগের মধ্যে সিঙ্গেল দুটি বিভাগে দ্বিতীয় স্থান ও দলগত তৃতীয় স্থান অধিকার করে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেলেন কল্যাণীর দিয়া।
দিয়া শিকদার বলেন, ক্যারেটের সিঙ্গেল কুমি বিভাগে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলাম। ফাইনালে নেপালের কাছে পরাজিত হই। তিনটি বিভাগে তিনটি ব্রোঞ্জ পেয়েছি। আগামী দিনে খেলা নিয়েই এগোতে চাই। এছাড়া ডিফেন্সে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ব্রোঞ্জ পদক জিতে খুশির হাওয়া পরিবারে। মেয়ে দেশের মুখ আরো উজ্জ্বল করুক,প্রার্থনা পরিবারের।